মদ্যপ অবস্থায় অশান্তি, সঙ্গিনীকে গাঁইতি দিয়ে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ, ধৃত এক ব্যক্তি
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও সালানপুর, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ মদ্যপ অবস্থায় অশান্তি। আর তার থেকে নিজের সঙ্গিনীকে গাঁইতি দিয়ে কুপিয়ে খুন করার দায়ে গ্রেফতার হলো এক ব্যক্তি। আসানসোলের সালানপুর থানার অন্তর্গত রূপনারায়ণপুর ফাঁড়ি এলাকার জোড়বাড়ি নয়াবস্তিতে সোমবার রাতে হওয়া এই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত মহিলার নাম অমিতা হেমব্রম (৪০)। ধৃত ব্যক্তির নাম শ্যামলাল মারান্ডি। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সালানপুর থানার রুপনারায়নপুর ফাঁড়ির জোড়বাড়ি নয়া বস্তি এলাকায় একটি বাড়িতে থাকেন শ্যামলাল মারান্ডি। তিনি রূপনারায়নপুরের একটি ডেকোরেটার্স সংস্থার কর্মী। তার সঙ্গেই বেশ কয়েক বছর ধরে থাকছিলেন বছর ৪০-এর অমিতা হেমব্রম। প্রথাগত ভাবে দুজনের মধ্যে বিয়ে না হলেও তারা একত্রে বসবাস করছিলেন। অমিতা রাজমিস্ত্রির সহযোগীর কাজ করেন। তার স্বামীর মৃত্যু হয়েছে বছর দশেক আগে বলে জানা গেছে।
অন্য দিনের মতো সোমবার রাতের দিকে শ্যামলাল মারান্ডি ও অমিতা হেমব্রম কাজ থেকে বাড়ি ফিরে আসেন। এরপর তারা নিজেদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়েন। তারা একে অপরের বিরুদ্ধে অত্যধিক মদ্যপান করে বলে অভিযোগ করতে থাকেন। সেই সময় কথা কাটাকাটির মধ্যেই আচমকাই শ্যামলাল একটি গাঁইতি দিয়ে অমিতার পেটে কুপিয়ে দেয়। গাঁইতির আঘাতেই অমিতা রক্তাক্ত ও জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। কিছুক্ষণ পরে প্রতিবেশীদের মারফত খবর পেয়ে রূপনারায়ণপুর পুলিশ এলাকায় আসে। রাত একটা নাগাদ অমিতাকে উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে নিয়ে আসা হলে চিকিৎসক পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রাতে ঘর থেকেই শ্যামলালকে পুলিশ প্রথমেই আটক করে ফাঁড়িতে নিয়ে যায় ।
মঙ্গলবার তাকে গ্রেফতার করা হয়। অমিতার বাড়ির লোকেরা মঙ্গলবার দেরী করে মঙ্গলবার বিকেলের পরে আসানসোল জেলা হাসপাতালে আসেন। তাই এদিন তার দেহের ময়নাতদন্ত হয়নি। বুধবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে অমিতার মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। শিবলালের প্রথম পক্ষের তিনটি ছেলেমেয়ে আছে বলে প্রতিবেশীদের মারফত জানা গেছে।
এদিকে, অমিতা হেমব্রমের বাড়ির লোকেরা ঘটনা সম্পর্কে কিছু জানা নেই বলে এদিন জেলা হাসপাতালে বলেন। তারা জানান, আমরা পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে এসেছি।
পুলিশ জানায়, শ্যামলাল মারান্ডিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মৃতার বাড়ির লোকেরা লিখিত অভিযোগ দায়ের করলেই পদক্ষেপ নেওয়া হবে।