দুর্গা পুজোর আগেই পূজোর আমেজে মেতে উঠল সমগ্র তিরাট গ্রামের মানুষ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ ইতিমধ্যেই দূর্গা পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গিয়েছে, দিকে দিকে দুর্গা পুজোর জোর তোড়জোড় শুরু হওয়ার সাথেই, সর্বত্র চলছে এবারের দুর্গা পুজোকে মনের মত,ও আকর্ষণীয় করে তুলতে নানা আয়োজন। দুর্গা পুজোর আর হাতে গোনা এক মাস দশ দিন বাকি, আর তার আগেই রানীগঞ্জের প্রত্যন্ত এলাকায় অবস্থিত চ্যাটার্জি পরিবারের দুর্গাপুজো, যা দীর্ঘ ৪২৭ বছর ধরে এই পরিবারের সদস্যরা তিরাট গ্রামে করে আসছেন।
সেই দুর্গাপুজোর মন্দির কে নবরূপে নির্মাণ করে মন্দিরের পুনর প্রতিষ্ঠার আয়োজন করলেন রানীগঞ্জের তিরাট গ্রামের চ্যাটার্জী পরিবারের সদস্যরা। দুর্গা পুজোর আগেভাগেই পূজোর আমেজে মেতে উঠল সমগ্র তিরাট গ্রামের মানুষ। গ্রামে সব মিলিয়েই তিনটি দুর্গাপুজোর অন্যতম হল, এই দীর্ঘ ঐতিহ্য বহন করে আসা চ্যাটার্জি পরিবারের দুর্গা পুজো, যা নিয়ে প্রতিবছরই গ্রামীণদের মধ্যে এক আলাদা উন্মাদনা কাজ করে । সেই বিষয়কে মাথায় রেখে পরিবারে দূর-দূরান্তে থেকে আশা, আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে গ্রামের সকল সদস্যরা, এবার দুর্গাপুজোর আগেভাগে মেতে উঠল পূজোর আনন্দে।
গ্রামের আড়ম্বর পূর্ণ, দীর্ঘ প্রাচীন দুর্গাপূজাকে স্মরণীয় করে তুলতে, এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে চ্যাটার্জী পরিবারের তরফে। সেই বিষয়ের প্রেক্ষিতেই রবিবার এক বিশেষ মুহূর্তে, এই মন্দির স্থাপন কর্মসূচি করা হল। এদিন প্রথমে কলস যাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়, অনুষ্ঠান পর্ব। যেখানে দামোদর নদের, পবিত্র জল সংগ্রহ করে, মঙ্গল কলস, স্থাপনা করা হয় মন্দির চত্বরে। ধার্মিক এই কর্মকান্ডে গ্রামের অসংখ্য মহিলা, পুরুষদের সাথেই যুবক, যুবতীরা ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করে এই বিশেষ অনুষ্ঠানে। এখানে নতুন মন্দিরে দেবী দুর্গা ও শিবের মন্দির স্থাপনের এই শুভক্ষণে, মন্দির চত্বরে এসে হাজির হন এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক, তথা রানীগঞ্জের বিধায়ক তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি এই মন্দির স্থাপনের পূজা পাঠ অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে, উদ্বোধন পর্ব সম্পন্ন করেন। আর এই পুজো পাট অনুষ্ঠান সম্পন্ন হওয়ার সাথেই গ্রামের অসংখ্য মানুষ সামিল হয় পংক্তি ভোজের অনুষ্ঠানে। পৌরাণিক বহু কথকথা থাকা, এই দুর্গা মন্দির প্রসঙ্গে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন তাদের শুনে আসা, মন্দির সম্পর্কের নানা কথা।