গারুই নদীর একপাশের একটি বড় অংশ জুড়ে কংক্রিট করা হচ্ছে, লিখিতভাবে অভিযোগ আসানসোল পুরসভার
বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য, আসানসোল। মাত্র কয়েকদিন আগেই সংবাদ প্রকাশিত হয়েছিল আসানসোল পুরসভার কুলটি এলাকার ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের সীতারামপুরের ধর্মব্রিজের নিচ দিয়ে বয়ে যাওয়া গারুই নদীর একপাশের একটি বড় অংশের বিশাল জায়গা জুড়ে কংক্রিট করা হচ্ছে ।এতে শুধু নদীর গতিপথ বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছিল তাই নয় ওই এলাকাটিও দখলের চেষ্টা হচ্ছিল ।এই খবর দেখার পরে আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ওই এলাকার দায়িত্বে থাকা পুরসভার আইনজীবী সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় এবং সংশ্লিষ্ট সহকারী ইঞ্জিনিয়ারদের সেখানে পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দেন। সেই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতেই আসানসোল পুরসভার পক্ষ থেকে কুলটির দায়িত্বে থাকা সহকারি ইঞ্জিনিয়ার কুলটি থানা ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কে লিখিতভাবে অভিযোগ দায়ের করেছেন।
ওই এলাকার পুরসভার দায়িত্বে থাকা আইনজীবী সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় জানান তিনি তার এক আইন বিভাগের উপদেষ্টা আইনজীবী রবিউল ইসলাম এবং সহকারী ইঞ্জিনিয়াররা গিয়ে দেখেন ধর্মা ব্রিজের নিচে গাড়ুই নদী একটা বড় অংশ কংক্রিট দিয়ে রাস্তা বন্ধ করা হয়েছে।
এই বিষয়টিকেই মাথায় রেখে অভিযোগ পত্রে লেখা হয়েছে এইভাবে নদীর গতিপথ কোন ব্যক্তি আটকে দিতে পারেন না এবং এর ফলে ওই এলাকায় শুধু পরিবেশের নষ্ট হবে তাই নয় আচমকা ভয়ংকর বৃষ্টি হলে সেখানে বন্যা হয়ে এলাকার মানুষ এবং তাদের জিনিসপত্রের ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে। সর্বোপরি ওই জায়গা দখল করার পরিকল্পনা থেকে থাকতে পারে। তারা যেদিন সেখানে গিয়েছিলেন সেখানে একটি জেসিপি মেশিন দেখতে পান যা স্থানীয় নিয়ামতপুর পুলিশ ফাঁড়ি থেকে পুলিশ ডেকে তাদের হাতে তুলেও দেয়া হয়েছিল।
রবিবার মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন এই বিষয়ে তারা একদিন আগেই অভিযোগ দায়ের করেছেন এবং কুলটি থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জকে অবিলম্বে দুষ্কৃতিদের খুঁজে বার করে গ্রেফতারের ব্যবস্থা করতে বলা হয়েছে। ওই নদীর উপরে যে কংক্রিটের কাজ হয়েছে তাও ভেঙে ফেলা হবে বলে তিনি জানান।
উল্লেখ্য এর আগে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ আছে আসানসোলে গারুই নদীর দুপাশ জুড়ে নদীর বুকেই একাধিক অবৈধ বাড়ি নির্মাণ হয়েছে।