দূর্গা পুজোয় নতুন চমক এনে, পূজা মন্ডপের মধ্যে নজর কাড়তে চলেছে শিশু বাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানীগঞ্জ : এবার ফাইভ-জি টাওয়ারের প্রভাব, প্রকৃতির ওপর কিরূপভাবে পড়ছে, ও তার ক্ষতিকর বিষয়গুলি বা কি রয়েছে, সেই সকল বিষয় গুলি কে পূজা মন্ডপে তুলে ধরে, দূর্গা পুজোয় নতুন চমক এনে, পূজা মন্ডপের মধ্যে নজর কাড়তে চলেছে শিশু বাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। বিগত কয়েকটা বছর, পুজোয় অনবদ্য সব শিল্প কলা ফুটিয়ে তুলে পূজো মন্ডপ গড়ে তোলায়, অন্য সব দূর্গা পুজো কমিটি গুলির মধ্যে, অন্যতম স্থান দখল করে নিয়েছে শিশু বাগান সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি। বেশ কয়েক দফায় তারা, সমস্ত পুজো কমিটিকে টেক্কা দিয়ে দুর্গা পুজোয় শ্রেষ্ঠ স্থান দখল করেছে। এবার তাদের মন্ডপ অন্য সবগুলি মণ্ডপের থেকে আলাদা আঙ্গিকে তুলে ধরা হবে, যা এবার নজর কাড়বে খনি অঞ্চল শিল্পাঞ্চলের মানুষজনের বলেই দাবি উদ্যোক্তাদের।
মঙ্গলবার সেই পুজোরি প্রারম্ভিক পর্বের সূচনা হলো খুঁটি পূজার মধ্যে দিয়ে। এদিন বেদ মন্ত্র উচ্চারণের মধ্যে দিয়ে বাঁশের খুঁটিতে দেবী দুর্গার মূর্তি স্থাপন করে সেই খুঁটি পুঁতে দেওয়া হল মণ্ডপ তৈরীর এলাকাতেই। এদিন ঢাক বাজিয়ে এই খুঁটিপুজোয় মেতে উঠল পূজোর উদ্যোক্তারা। আয়োজক সংস্থার দাবি এবার তাদের ১৯ তম বর্ষে বিজ্ঞান বিষয়কে সকলের মাঝে তুলে ধরে ইন্টারনেটের টাওয়ার পরিবেশকে কতটাই প্রভাবিত করছে সে সকল বিষয় মন্ডপে তুলে ধরার জন্যই তারা উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান। এবার স্থানীয় শিল্পীদের সহায়তায় রানীগঞ্জের বিশিষ্ট শিল্পী অশোক কর্মকার তার সমস্ত শিল্প সত্তা দিয়ে এই মন্ডপকে সাজিয়ে তুলতে দুমাস আগে থেকেই তার হাতের কাজ তৈরি শুরু করে দিয়েছেন
। এই পূজা মন্ডপে শুধু আকর্ষণীয় মণ্ডপ থাকছে না, তার সাথেই থাকছে ডিজিটাল লাইটের চমক, আর এ সকলের সাথেই প্রত্যহ থাকছে নানান বিচিত্রা অনুষ্ঠান। আর শিশু বাগান মাঠের দুর্গা পুজো মানেই একটা মেলার আয়োজন,আর সেই মেলা এবারও থাকছে পুজো মন্ডপের পাশেই, বলেই জানিয়েছেন উদ্যোক্তারা।