রানীগঞ্জের অশোক সংঘ ক্লাব সদস্যরা রক্তদান শিবির ও বিনামূল্যে ওরাল ক্যান্সার ডিটেকশন ক্যাম্প করলেন
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : খনি অঞ্চলের মানুষজনের গুটকা খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই বেশি, তাই ওরাল ক্যান্সারে আক্রান্ত হয় খনি অঞ্চলের বহু মানুষ। সেই বিষয়কে মাথায় রেখে এবার ভ্রাম্যমান বাসে রক্তদান কর্মসূচি সম্পন্ন করার পর, বিনামূল্যে মুখের ক্যান্সার নির্ণয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করে, কিভাবে মুখের ক্যান্সার চিহ্নিত করা যাবে, ও তা কি কি উপায়ে নিজে থেকেই পরখ নিতে পারবেন আক্রান্তরা, তা এদিন জানিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে রানীগঞ্জের বিশিষ্ট চিকিৎসক অনির্বাণ ঘোষ নিলেন বিশেষ উদ্যোগ। বিনা খরচে নিজে থেকেই কিভাবে শুধুমাত্র আইনা দেখে, আটটি উপায় অবলম্বন করে মুখমণ্ডলে বা মুখের ভেতর কোন ক্যান্সার রোগ বাসা বাঁধছে কিনা? তা জানিয়ে দেওয়ার উপায় বাতলে দিলেন বিশিষ্ট চিকিৎসক অনির্বাণ ঘোষ। মোট আটটি পদ্ধতিতে কিভাবে নিজের শরীরে রোগের লক্ষণ রয়েছে কিনা ? জানতে পড়ার জন্য, তা লিফলেট আকারে তুলে ধরে, সাধারন মানুষকে চিকিৎসা পরিষেবা দিলেন এই চিকিৎসক। শনিবার রানীগঞ্জের গির্জা পাড়ায় অবস্থিত অশোক সংঘ ক্লাব সংগঠন, যা খেলাধুলার জগতে সুনাম অর্জন করে, বহু খেলোয়াড় তৈরি করে চলেছেন । সেই সংগঠনের সদস্যরাই এবার এক রক্তদান শিবির ও বিনামূল্যে ওরাল ক্যান্সার ডিটেকশন ক্যাম্প করলেন, নিজেদের ক্লাব চত্বরে।
সেখানে এদিন ভ্রাম্যমান বাসে, আসানসোল জেলা হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সদস্যরা, এই বিশেষ শীততাপ নিয়ন্ত্রিত ভ্রাম্যমান বাসে, রক্তদান কর্মসূচিতে অংশ নেন, যেখানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত হন, রানীগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক রুনু দত্ত। তিনি এদিন রক্তদাতাদের শংসাপত্র ও পুষ্পস্তবক দিয়ে সম্মানিত করে, অশোক সংঘের এই কর্মসূচিকে সাধুবাদ জানান। পরবর্তীতে শনিবার দুপুর থেকেই ওরাল ক্যান্সার ডিটেকশন ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়। যেখানে এলাকার অসংখ্য মানুষ বিনামূল্যে নিজেদের চিকিৎসা করিয়ে, চিকিৎসকের বিশেষ পরামর্শ নিলেন। হলো বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে- চোখ, কান, নাকের রোগ নির্ণয়। যে শিবিরে এদিন এসে উপস্থিত হন, রানীগঞ্জের বিধায়ক, তথা আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান তাপস বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই কর্মসূচির ভূয়সি প্রশংসা করেন, পাশাপাশি অশোক সংঘের আয়োজকদের, এই বিশেষ কর্মসূচি গ্রহণ করায়, সমাজের একটা বড় কাজ করছেন বলেই জানান।