ASANSOL

ডিভিআরআরসির কমলা সতর্কতা, মাইথন ও পাঞ্চেত থেকে ছাড়া হলো ১ লক্ষ কিউসেক জল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটরি কমিশন বা ডিভিআরআরসির তরফে টানা কয়েক বৃষ্টি ও খারাপ আবহাওয়াকে মাথায় রেখে কমলা বা অরেঞ্জ সতর্কতা জারি করার নির্দেশ দেওয়া হলো। রবিবার বিকেলে এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে মাইথন থেকে ১৮ হাজার কিউসেক এবং পাঞ্চেত থেকে ৩০ হাজার কিউসেক অর্থাৎ সবমিলিয়ে মোট ৪৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া শুরু হয়েছিলো।
কিন্তু ২ অক্টোবর সোমবার সকালে সেই জল ছাড়ার পরিমাণ এক ধাক্কায় দ্বিগুণরেও বেশি করা হয়েছে। জানা গেছে, এদিন সকাল পৌনে আটটে নাগায় পাঞ্চেত থেকে ৫৫ হাজার ও মাইথন থেকে ৪৫ হাজার অর্থাৎ সবমিলিয়ে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।

দামোদর ভ্যালি কর্পোরেশন বা ডিভিসির এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর (সিভিল) অঞ্জনি কুমার দুবে বলেন, রবিবার বিকেলে মাইথনে ৪৮৭. ৫২ ফুট ও পাঞ্চেতে ৪১৩. ৬০ ফুটে জলস্তর রয়েছে। টানা বৃষ্টির কারণে গত দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় ১৫ ফুট জল বেড়েছে এই দুই জলাধারে। তিনি আরো বলেন, দামোদর ভ্যালি রিভার রেগুলেটারি কমিশনের পক্ষ থেকে পাঠানো কমলা সতর্কতার নির্দেশ রবিবার বিকেলে পেয়েছি। ঐ নির্দেশের ৬ ঘন্টার পরেই তা কার্যকর করা হয়। সবমিলিয়ে ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষ কিউসেক জল ছাড়ার জন্য এই কমলা সতর্কতা জারি করা হয়। এই মুহূর্তে ঝাড়খন্ডের বিভিন্ন এলাকা টানা বৃষ্টি চলছে। গত কয়েকদিন ধরে খুব সামান্য করে করেই জল ছাড়া হচ্ছিলো। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ডিভিআরআরসির নির্দেশে রবিবার বিকেলে ৪৮ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছিলো। সোমবার সকালে তা বাড়িয়ে ১ লক্ষ করা হয়েছে। এই জল ছাড়ার বিষয়টি ডিভিসির তরফে আগে থেকেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

শ্রী দুবে বলেন, একটা ভালো বিষয় হল ইতিমধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সেচ খাল গুলি পরিষ্কার করা হয়েছে, যাতে অনেক পরিমাণ জল ধরে রাখা যায়।
এদিকে ঝাড়খণ্ডের মতোই দক্ষিণবঙ্গে বিশেষ করে পশ্চিম বর্ধমান জেলা সহ পার্শ্ববর্তী জেলাগুলিতে গত তিনদিন ধরে বৃষ্টি চলছে। স্বাভাবিকভাবেই বরাকর, কুলটি, এলাকা থেকে দুর্গাপুর পর্যন্ত খাল ও নদী গুলির জলও দামোদরে গিয়ে মিশবে।
পশ্চিম বর্ধমান জেলা বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের আধিকারিকরাও এই দিকটাতে নজর রেখেছেন বলে জেলার ডিপিআরডিও বা জেলা আধিকারিক তমোজিৎ চক্রবর্তী জানিয়েছেন।
এদিকে, ডিভিসির কাছ থেকে জল ছাড়ার একটা বার্তা সোমবার সকালে পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পোন্নাবলম এসকে পাঠানো হয়েছে। সেই মতো জেলাশাসক জেলার দুই পুরনিগম আসানসোল ও দূর্গাপুরকে তা জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গতঃ, আসানসোল শিল্পাঞ্চলেও গত চারদিন ধরে বলতে গেলে রাতদিন টানা বৃষ্টি হয়ে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *