আসানসোলে পানীয়জল নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড সকালে কাউন্সিলারের বাড়ি ঘেরাও, বিকেল রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* পানীয়জল নিয়ে ধুন্ধুমার কান্ড ঘটলো পশ্চিম বর্ধমানের জেলা সদর শহর আসানসোলে। বলতে গেলে শনিবার সকাল থেকে প্রায় সন্ধ্যা পর্যন্ত পানীয়জলের দাবিতে সরগরম রইলো আসানসোলের কল্যানপুর হাউজিং এলাকার।
এদিন সকালে পানীয়জলের দাবিতে আসানসোল পুরনিগমের ২২ নং ওয়ার্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অনিমেষ দাসের বাড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান কল্যানপুর হাউজিং এলাকার বাসিন্দারা। তখন তিনি আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, বিকেলে জল চলে আসবে। কিন্তু জল এল না। আর তাতেই ক্ষোভ ফেটে পড়ে রাস্তায় নামলেন সেইসব মানুষেরা। ২২ নং ওয়ার্ডের কল্যাণপুর হাউজিং এলাকায় কাউন্সিলরের আশ্বাসের পরেও না আসায় নাগরিকদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙে। ক্ষোভে ফেটে পড়া বাসিন্দারা বিকেল চারটের পরে কল্যানপুর হাউজিং সংলগ্ন কুমারপুর মোড়ে সেনরেল রোড বা বিবেকানন্দ সরণি অবরোধ করেন।
রাস্তার দুদিকে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। যানজটে দুচাকা ও চারচাকা গাড়ির সঙ্গে আটকে পড়ে একাধিক এ্যাম্বুলেন্সও। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে আসানসোল উত্তর ও দক্ষিণ থানার পুলিশ এলাকায় আসে। প্রায় দু’ঘন্টা ধরে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো চলে। পরে পুলিশের আশ্বাসে l
উল্লেখ্য, আসানসোল পুরনিগমের কল্যাণপুর হাউজিং এলাকায় গত ৮ দিন ধরে জলের সঙ্কট রয়েছে। যার জেরে এলাকার মানুষেরা চরম সমস্যায় পড়েছেন। এমন পরিস্থিতি যে, তাদেরকে জল কিনে খেতে হচ্ছে। সবকিছু জানার পরেও, কিছু হচ্ছে না। এই অভিযোগ তুলে শনিবার সকালে স্থানীয় লোকজনেরা ক্ষিপ্ত হয়ে ২২ নং ওয়ার্ডের তৃনমুল কংগ্রেসের কাউন্সিলর অনিমেষ দাসের বাড়িতে পৌঁছান। খবর পেয়ে এলাকায় পুলিশ আসে। অম্লান মুখোপাধ্যায় সহ এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, গত ৮ দিন ধরে এলাকায় জল নেই। যার কারণে মানুষকে চরম সমস্যায় পড়তে হয়। পানীয় জল না থাকায় আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মেও সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। দূর্গাপূজো আসতে চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে জলের অভাব হলে দুর্গাপূজোর আনন্দ একেবারেই নষ্ট হয়ে যাবে। তারা আরো বলেন, কে তাদের এলাকায় পানীয়জল সরবরাহ করে তা দেখা আমাদের কাজ নয়। আমরা আমাদের সমস্যা ওয়ার্ডের কাউন্সিলরের সামনে তুলে ধরতে এসেছি।
কাউন্সিলর অনিমেষ দাস এলাকায় যে পানীয়জলের সমস্যা রয়েছে, তা স্বীকার করে নেন। তিনি বলেন, এই এলাকায় ৮ দিন জল সরবরাহ হচ্ছে না। এর জন্য গত কয়েকদিনের বৃষ্টিকে দায়ী করে তিনি বলেন, এটি একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ। যে কারণে এই সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এই এলাকায় পিএইচই বা জনস্বাস্থ্য কারিগরি বিভাগ জল সরবরাহ করে। তারা কাজ করছেন। সকালের তার বাড়ির সামনে এই বিক্ষোভের সময় আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, বিকেলের মধ্যে আশা করছি জল সরবরাহ হয়ে যাবে।
কিন্তু সেই আশ্বাস মতো জল না আসায় এদিন বিকেলে এলাকার বাসিন্দারা রাস্তা অবরোধ করেন।