শিল্পাঞ্চলে কয়লা পাচার বন্ধে ইসিএলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে নামার ডাক সুকান্ত মজুমদারের
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Coal Smuggling ) আসানসোল রানিগঞ্জ শিল্পাঞ্চলে নতুন করে কয়লা পাচার চক্র বা সিন্ডিকেট চালু হয়েছে। প্যাডের মাধ্যমে তা করা হচ্ছে। একইসঙ্গে চলছে অবৈধ বালি পাচারও। শুক্রবার বিকেলে আসানসোলে ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া ধাদকায় বিজেপির জেলা কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এমনটাই জানালেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। তার দাবি, আগে অনুপ মাজি ওরফে লালা এই সিন্ডিকেট চালাতো। পরে তা বন্ধ হয়ে যায়। এরপরে অন্য একজনের নাম আসে। সে পরে খুন হয়। সিবিআই ও ইডির অভিযানে কয়লা পাচার বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু এখন তা জনৈক ” কান্তাবাবু ” চালাচ্ছে। প্যাডের মাধ্যমে তা চলছে। আসানসোল থেকে ডানকুনি পর্যন্ত তা চলছে। পুলিশ সহ বিভিন্ন জায়গায় হপ্তা দিয়ে এই সিন্ডিকেট চলছে। মুলতঃ কমদামি কয়লার আড়ালে ভালো মানের কয়লা তুলে পাচার করা হচ্ছে। বালিও পাচার এইভাবে চলছে। সুকান্ত মজুমদারের হুঁশিয়ারী, রাজ্যের সম্পদ এইভাবে পাচার হতে আমরা দেবোনা। প্রয়োজনে ইসিএলের বিরুদ্ধেও বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার নেতা ও কর্মীরা আন্দোলন করবে। সাফ কথা, কোন কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকরা পাচারে মদত করতে পারবে না। আমরা সবকিছু বন্ধ করবো।
রানিগঞ্জে কয়লাখনিতে মৃত্যু নিয়ে বৃহস্পতিবার এলাকার বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায় বলেছিলেন, ১০০ দিনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জন্য অনেকে রোজগার করতে এইসব করছে। এই প্রসঙ্গে তাপসবাবুকে পাল্টা জবাব দিয়ে সুকান্তবাবু বলেন, বিধায়ক কোন খবর রাখেন না। এখানে বেআইনি কয়লা কাটতে বিহার, ঝাড়খণ্ড থেকেও লোক আসে। ঐ দুই রাজ্যে তো ১০০ দিনের কাজ বন্ধ নেই। আসল কথা হলো এই বাংলায় কর্মসংস্থান নেই। যেখানে শিল্প নেই সেখানে কি করে কর্মসংস্থান হবে? বিজেপি রাজ্য ক্ষমতায় এলে শিল্প করবে। তবে বিজেপির রাজ্য সম্পাদক রানিগঞ্জের এই ঘটনার জন্য সামান্য হলেও ইসিএলকে দায়ী করেছেন। তার মতে, ইসিএলের আরো সতর্ক হওয়া উচিত। যে বেসরকারি সংস্থা আউটসোর্সিং করছে তাদের বলতে হবে। দেখতে হবে নিরাপত্তা রক্ষা হচ্ছে কিনা।
এদিন নিয়োগ দূর্নীতি নিয়ে আরো একবার অভিষেক বন্দোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, তাকে বা তার ঘনিষ্ঠ কাউকে ডাকলে কোর্টে চলে যাচ্ছেন। কপিল সিব্বলের মতো উকিল দাঁড় করাচ্ছেন। এতো টাকা কোথা থেকে আসছে? বাংলার মানুষেরা সব দেখছেন।
এই সাংবাদিক সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে ছিলেন জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, তিন বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ডাঃ অজয় পোদ্দার ও লক্ষ্মণ ঘোড়ুই সহ রাজ্য ও জেলা নেতারা।