লৌহ ইস্পাত শিল্পে কর্মরত শ্রমিকদের ১৮ তারিখের মধ্যেই বোনাস ও অতিরিক্ত অনুদান প্রদান
নতুন সংযোজিত বোনাস পাচ্ছেন ১৫.৯০ শতাংশ
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ: অবশেষে পুজোর আগেই ক্ষণিক স্বস্তি পেল লৌহ ইস্পাত শিল্পে কর্মরত শ্রমিকেরা। পূজোর আগেই দাবি মোতাবেক বেশ কিছু শতাংশ, বোনাস পেতে
চলেছে ক্ষুদ্র মাঝারি লৌহ ইস্পাত কারখানার শ্রমিকেরা, তাদের ১৮ তারিখের মধ্যেই বোনাস ও অতিরিক্ত অনুদান প্রদান করতে বলা হয়েছে, কারখানা কর্তৃপক্ষকে। গত ১১ ই অক্টোবর পশ্চিমবঙ্গের অন্যান্য সাতটি জেলার সাথেই পশ্চিম বর্ধমানের খনি অঞ্চল, শিল্প তালুক মঙ্গলপুর এলাকাতেও, বোনাসের দাবিতে সোচ্চার হয়, সি আই টি ইউ সংগঠন। তারা দাবি করে, ভিক্ষা নয় সম্মানজনক বোনাস প্রদান করা হোক সকল শ্রমিকদের। এরপরই ১২ তারিখ কলকাতার নিউ সেক্রেটারিয়েট বিল্ডিং এর কনফারেন্স হলে, লেবার কমিশনের পক্ষ থেকে তিনটি মালিক সংগঠনের সদস্যদের সাথে, আইএনটিটিইউসি সিআইটি ইউ ও আইএনটিইউসি শ্রমিক সংগঠন, শ্রমিকদের বোনাস প্রদান নিয়ে বৈঠকে বসেন।
যেখানে এবার পুজোর আগেই যাতে শ্রমিকদের বোনাস প্রদান করার জন্য উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়, তার দাবি করেন সব শ্রমিক সংগঠনগুলি। এরপর বিভিন্ন আলাপ আলোচনার পর রাত্রি বারোটা পর্যন্ত চলে এই বৈঠক। যেখানে শ্রমিক সংগঠনের দাবি অনুসারে ০.৫% হারে বৃদ্ধি পায় বোনাস। একই সাথেই এসগাছিয়া বা অতিরিক্ত অনুদান হিসেবে কমপক্ষে ৯০০ টাকা প্রদান করার নির্দেশ দেওয়া হয়। অর্থাৎ কিনা যে সকল কলকারখানায় শ্রমিকেরা মাসিক প্রায় দশ হাজার টাকা বেতন পায়, সেখানে তারা নতুন সংযোজিত বোনাস পাচ্ছেন ১৫.৯০ শতাংশ। যার ফলে তাদের প্রায় কুড়ি থেকে ২১ হাজার টাকা বোনাস হিসেবে প্রদান করা হচ্ছে, এবারের ২০২২ – ২৩ সালের বর্ধিত বোনাস অনুসারে করা হবে এসব।
উল্লেখ্য পশ্চিম বর্ধমানের বিভিন্ন কলকারখানার সাথে এই রাজ্যের সাতটি জেলার মধ্যে প্রায় দেড়শ টির মতো কারখানায় প্রায় ৬০ হাজার শ্রমিক কর্মরত রয়েছে, যারা পূজোর আগেই এভাবেই দাবি আদায় করতে পারায় আনন্দ উচ্ছ্বাসে মেতেছে তারা।
উল্লেখ্য এর আগেই মঙ্গলপুর শিল্পতালুকে শ্রমিকদের সম্মানজনক বোনাসের দাবিতে সোচ্চার হয় সিআইটিইউ। বুধবার তারা, মঙ্গলপুর কারখানার গেটে শ্রমিকদের নিয়ে জমায়েত করে।
শ্রমিকদের এই সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সি আই টি ইউ পশ্চিম বর্ধমান জেলা সাধারণ সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী দাবি করেন, ক্ষুদ্র মাঝারি লৌহ ইস্পাত কারখানার শ্রমিকরা সম্মানজনক মজুরি পান না। তিনি বলেন, কারখানা কর্তৃপক্ষের তুঘলকি আচরণ মানা হবে না। কর্তৃপক্ষের গাফিলতির কারণেই কারখানাগুলিতে দুর্ঘটনা ঘটছে । শ্রমিকদের স্বার্থে লাল ঝান্ডা নিয়েই সি আই টি ইউ আন্দোলন জারি রাখবে বলে জানান তিনি। এদিনের মঙ্গলপুর শিল্পতালুকের শ্রমিকদের এই সভায় বক্তব্য রাখেন ক্ষুদ্র মাঝারি লৌহ ইস্পাত সংগঠনের নেতা উমাপদ গোপ, শ্রমিক নেতা,দিব্যেন্দু মুখার্জি,মিত্তন চ্যাটার্জি প্রমূখ।