দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানা লক্ষাধিক টাকার বাজি বাজেয়াপ্ত করল
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, দুর্গাপুর : রাজ্যজুড়ে যখন বাজি কারখানায় একের পর এক দুর্ঘটনার ঘটনা ঘটে চলেছে। দিকে মৃত্যু মিছিল লক্ষ্য করা গেছে, এই বাজি তৈরির কারখানা ঘিরে। তখনই এবার ব্যাপক সংখ্যায় বাজি উদ্ধার হল মহালয়ার সময়কালে, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের দুর্গাপুর নিউ টাউনশিপ থানা এলাকায়। এখানে পুলিশের বিশেষ দল, বিশেষ নজরদারি রেখে নিউ টাউনশিপ থানা এলাকার বি ও জি এল সাইট কলোনি থেকে বিশ্বনাথ দেবনাথ নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে উদ্ধার করল বিপুল পরিমাণ নিষিদ্ধ শব্দবাজি।
জানা গেছে ধৃত ওই ব্যক্তির কাছে কয়েক লক্ষ টাকার নিষিদ্ধ শব্দবাজি পাওয়া গিয়েছে। পুলিশের বিশেষ নজরদারি দলের তৎপরতায় এই বড় সাফল্য পাওয়ার বিষয় সামনে আসে। তবে এই বাজি সেখানে কিভাবে এলো, কি কারনে এত নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও তারা সেখানে বাজি জড়ো করেছিল, অবৈধভাবে তৈরি হওয়া বাজি , সেসব নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য বিশ্বকর্মা পূজোর সময় থেকেই পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে বিভিন্ন অংশে শব্দ বাজির দাপট লক্ষ্য করা যায়, আর সেই শব্দ বাজির ব্যবহারে একেবারে দুর্ভোগে পড়ে পশু পাখি থেকে শুরু করে, বয়স্ক মানুষ ও অসুস্থ লোকেরা। আর তার সাথেই বাতাসে মেশে বিষাক্ত গ্যাস। সেসকল জেনেই ইতিমধ্যেই বেস কিছু বাজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে পরিবেশ দপ্তরের তরফে। শুধুমাত্র কয়েকটি দূষণ নাম মাত্র ছড়ানো, বাজি ব্যবহারের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে বাজি বিক্রির ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সে সকলকে তোয়াক্কা না করে কিভাবে দুর্গাপুরের নিউ টাউনশিপ থানা এলাকায় এত বিশাল সংখ্যায় বাজি জমা করলো ওই ব্যক্তি, তা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন।
উল্লেখ্য এর আগেই আসানসোলের বার্নপুর এলাকা সহ বেশ কয়েকটি অংশেই বিশাল পরিমাণ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ প্রশাসন , রানীগঞ্জ শহরেও বেশ কয়েকটি স্থানে গত কয়েক বছরে লাগাতার অভিযান চালিয়ে আটক করা হয়েছে অসংখ্য নিষিদ্ধ বাজি। তবে এবার পুজোর আগেই এই বিশাল সংখ্যায় নিষিদ্ধ শব্দবাজি আটক করায়, শব্দবাদী যে চারিদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে যেতে পারে, তা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করছে পরিবেশপ্রেমীরা। এখন দেখার পরিবেশকে সুরক্ষিত রাখতে কতটা তৎপর হয় প্রশাসন।