রানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মহাবীর আখাড়া বের হলো না
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : ( Asansol Raniganj News ) সব কর্মকাণ্ডই যেন বৃথা গেল।গত দুদিন ধরে সাজো সাজো রব পুলিশ মহলে থাকলেও, রানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মহাবীর আখাড়া, যাতে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে পুলিশ বিশেষ ভাবে তৎপর হয়ে থাকলেও, আখড়া দল নামলো না ময়দানে। আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ বাহিনী, মহাবীর আখড়া নিয়ে জোর ব্যস্ত। যা নিয়ে রানীগঞ্জ শহর জুড়ে সর্বত্রই চলছে পুলিশি টহলদারি, রুট মার্চ। পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে, সব রকম ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।আছে কমব্যাট ফোর্স, রেপিড একশন ফোর্স, জলকামান, আর তার সাথেই বিগত বছর গুলির মত এবারও দিকে দিকে বিশেষ পুলিশি নজরদারি রাখা হয়েছে, খনি শহর রানীগঞ্জে। কিন্তু এত সকলের পর ও এবছরও বের হচ্ছে না রানীগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী মহাবীর আখাড়া।
পূর্বে এক অজ্ঞাত কারণে রানীগঞ্জের রবিন সেন স্টেডিয়ামে দু’বছর এই মহাবীর আখাড়া পুলিশ প্রশাসন দ্বারা করার উদ্যোগ নিয়ে, সফল হলেও বিগত ২০২০ সাল থেকে যে রাস্তা দিয়ে যে রুট ধরে, ধারাবাহিকতা বজায় রেখে মহাবীর আখাড়া গুলির নিয়ে যাওয়া হতো, সেই রাস্তা ধরেই মহাবীর আখাড়া নিয়ে যাওয়া, না হওয়ার কারণে বিগত তিন বছর ধরে, শুধুমাত্র পুজোপাঠ করেই মহাবীর আখাড়ার দল গুলি নিজেদের মন্দিরে ও পাড়ায় পুজো পর্ব সেরেছেন। এবারও সেই একই বিষয়ে লক্ষ্য করা গেছে। রানীগঞ্জের সবকটি মহাবীর আখাড়ার দলগুলি লক্ষ্য করে সেই বিষয়টি স্পষ্ট হয়। এবারও রানীগঞ্জের তিনটি আখাড়া আদলের সম্মিলিত দল খাকি বাবা মন্ডলী, সহ রানীগঞ্জের বারোটি আখড়া দল, হনুমানজির মন্দিরে পুজো করে হনুমানজির ঝান্ডা উত্তোলন করে, নিজেদের রীতি রেওয়াজ অক্ষুন্ন রেখেছেন।
উদ্যোক্তাদের দাবি তাদের অন্যায় ভাবে ভুল বুঝিয়ে একসময় পূর্বের পুলিশ আধিকারিকেরা, তাদের লাঠি খেলার যে ধারাবাহিকতা, মহাবীর আখাড়ার যে ঐতিহ্য সেই ঐতিহ্যকে নষ্ট করেছেন। আর তা যতক্ষণ না তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের দাবিতেই অনড় থাকবেন। কোনো রূপভাবে কোন আখাড়া দল বের করবেন না, কোন প্রসেশন। তাই পুলিশ প্রশাসনের সাজোসাজো ভাব,লক্ষ্য করা গেলেও, মহাবীর আখড়ার দল কিন্তু তাদের দাবিতে অনড় থাকলো। কোজাগরি লক্ষ্মীপুজোর পরদিন আর বের হলো না খনি শহরের প্রাচীন ঐতিহ্য মহাবীর আখড়া। যদিও এ বিষয়ে পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি তারা তাদের ডিউটি রীতিমতো পালন করছেন যা রানিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন অংশে লক্ষ্য করা যায় গত দুদিন ধরেই।