ASANSOLRANIGANJ-JAMURIA

শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে ৬ জুয়াড়ি সহ ৫৩ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করল

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী: জুয়া খেলার মুক্ত অঞ্চল হিসেবে পরিচিত, শ্রীপুর ফাঁড়ির গুঞ্জন পার্ক এলাকার, জঙ্গল থেকে এবার কালী পূজোর আগেই বড়োসড় জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে ৬ জুয়াড়ি সহ বোর্ডে থাকা ৫৩ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করল জামুরিয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায়,বেশ কিছুদিন ধরেই শ্রীপুর ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিক শেখ রিয়াজউদ্দিনের কাছে, গুঞ্জন পার্ক এলাকায়, জুয়ার ঠেক চালাচ্ছে এক দল জুয়াড়ি, এই খবর আসতেই তিনি বিষয়টিকে নিয়ে নজরদারি চালাতে থাকেন, ওই এলাকায়। তবে বেশ কয়েকবার সেখানে হানা দিয়ে কোন সফলতা না মিললেও, এবার নজরদারি দলের সদস্যরা জুয়া খেলার খবর দিলে, শনিবার সন্ধ্যে নামার মুখেই পুলিশ এই জুয়ার ঠেকে জুয়া খেলা চলছে এই খবর পেয়ে, শেখ রিয়াজউদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশের বিশেষ দল ওই এলাকায়, অতর্কিতে হানা দিলে, পুলিশের জালে ধরা পড়ে ৬ জন জুয়াড়ি।

জানা যায় ধৃতরা সকলেই জামুরিয়ার শ্রীপুর ফাঁড়ির, নিঘা এলাকার বাসিন্দা। ধৃতরা হল বছর ৩৫ এর নিঘা, সাব এরিয়ার বাসিন্দা, সঞ্জয় নুনিয়া, নিঘা এরোড্রাম এলাকার বাসিন্দা বছর ৪০ এর উমেশ যাদব, নিঘার বাসিন্দা বছর ৪৭ এর বজরঙ্গি পাশোয়ান, বছর 31 এর ডি.ভি.সি, কালিপাহাড়ির বাসিন্দা রোশন কুমার, বছর ২৭ এর নিঘা গোধরিয়া পাড়ার বাসিন্দা রাজীব পাশোয়ান, ও বছর ৩৫ এর নিঘার আজাদনগরের বাসিন্দা, অজগর আলীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ ধৃতদের কাছ থেকে জুয়া খেলার তাস বা প্লেইং কার্ড ও সেখানে জুয়া খেলার জন্য বোর্ডে থাকা ৫৩ হাজার টাকা বাজেয়াপ্ত করে। নিঘা এলাকার গুঞ্জন পার্কে জুয়া খেলার ঘটনা এই প্রথম নয় এর আগেও বহুবার বহু পুলিশ আধিকারিক এই নিঘার গুঞ্জন পার্ক এলাকা থেকে জুয়া খেলার অপরাধে, বেশ কিছু জুয়াড়িকে গ্রেফতার করে, তাদের কাছে নগদ টাকাও উদ্ধার হয়।

তবে এই বিষয়গুলি এই কালীপুজোর সময়ে বা আগে লক্ষ্য করা যায়নি, কালীপুজোর পরেই এ ধরনের জুয়ার থেকে হানা দেওয়ার বিষয় লক্ষ্য করা যেত। কিন্তু এবার ব্যতিক্রমী চিত্র লক্ষ্য করা গেল। নিঘার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকায়, কালীপুজোর আগেভাগেই পুলিশ জুয়ার ঠেকে হানা দিয়ে এ ধরনের জুয়াড়িদের ধরে ফেলায়, জুয়া খেলার প্রতি ভয়, মানুষজনের মনে, অনেকটাই থাকবে বলেই অনুমান বিদ্ধজনেদের। এবার দেখার আগামীতে অন্য সব এলাকাতেও এ ধরনের জুয়ার ঠেক বন্ধ করতে পুলিশ কিরূপ তৎপর হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *