কুলটি সেল রাইটস কারখানায় গেট আটকে কর্মী বিক্ষোভ, সঠিক বেতন সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধার দাবি
বেঙ্গল মিরর, কুলটি, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটিতে সেল রাইটস কারখানায় বুধবার থেকে ৮৩ জন ঠিকা কর্মী কারখানার গেট বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন। তাদের বক্তব্য গত একমাস ধরে, বিশেষত পুজোর সময় থেকে তারা বেতন পাচ্ছেন না। কোম্পানি বারবার টেণ্ডার পরিবর্তন করায় তাদের কাজের অসুবিধা হচ্ছে। প্রতি দু/তিনমাস অন্তর তাদের কাজের অসুবিধা হচ্ছে। এরফলে তারা পিএফ, ইএসআই সহ অন্যান্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। এমন কি কাজ করার পরিবর্তে নুন্যতম হাজিরাটুকুও তারা পাচ্ছেন না বলে, তাদের দাবি ও অভিযোগ। এই পরিস্থিতি থেকে রেহাই পেতেই তারা বুধবার থেকে এই বিক্ষোভ শুরু করেছেন বলে কর্মীদের তরফে সন্তোষ মাহাতো জানান।




তারা নিজেদের আন্দোলনকে আরো জোরালো করতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে ওয়াগন তৈরির কারখানার গেট বন্ধ করে ম্যানেজম্যান্টের বা কোম্পানির আধিকারিকদেরকেও কারখানায় ঢুকতে দেননি। একই সাথে তারা এদিন কারখানায় একটি গ্যাসের গাড়ি ঢুকতে গেলেও তাকে আটকে দেওয়া হয়। বিক্ষোভকারীদের দাবি, আগামী শনিবার পর্যন্ত তারা কারখানার গেটে এভাবেই অবস্থান বিক্ষোভ চালাবেন। তারপরেই কারখানার কতৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলবেন।
এই পরিস্থিতিতে এদিন সকালে সেল রাইটস কারখানার জিএম সুশান্ত ভট্টাচার্য কারখানার গেটে উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভরত কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। পরে তিনি সংবাদ মাধ্যমের একাংশকে জানান, আগের কাজের টেণ্ডার অক্টোবর মাসে শেষ হয়ে গেছে। পরবর্তী ক্ষেত্রে রেলের অর্ডার পেয়ে নতুন করে কাজের এস্টিমেট অনুসারে টেণ্ডার ডাকা হয়। যেখানে দুই ব্রিডার বা সংস্থা ৪০℅ বেশি রেট দেয়। কারণ কর্মীরা তাদের মজুরি বাড়ানোর দাবি তোলেন। কোম্পানি মূল টেণ্ডার রেটের থেকে ৫০০০ টাকা বেশি দেবার কথা বললেও ঠিকাদার ও শ্রমিকরা রাজি হচ্ছেনা। অথচ কর্মীদের হাজিরা নুন্যতম থেকে দেড়গুন বেশি ধরা আছে। একই সাথে কর্মীদের পিএফ ও ইএসআই নিশ্চিত করা হচ্ছে। কিন্তু তাতে প্রথম ব্রিডার কাজ কাজ করতে চাইছে না। তিনি আরো বলেন, এই পরিস্থিতিতে দ্বিতীয় ব্রিডারকে ডেকে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে কর্মীদের সাথে কথা বলে সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে। জিএম এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এই ভাবে চললে, সময় মতো বরাত পাওয়া ওয়াগন তৈরি করা যাবে না।