ASANSOL

নিষিদ্ধ পল্লিতে দালালদের দৌরাত্ব, দাবি মতো টাকা দিতে না পারায় মারধরের অভিযোগ, ৫ জনকে উদ্ধার পুলিশের

বেঙ্গল মিরর, কুলটি ও নিয়ামতপুর, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ* দালালদের দৌরাত্ব বাড়ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লিতে। মনোরঞ্জন করানোর নাম করে বিভিন্ন মানুষদেরকে ভয় দেখিয়ে তাদের কাছ থেকে জোর করে তোলাবাজি করার অভিযোগ উঠছে এইসব দালালদের বিরুদ্ধে। আর এই কাজে ক্ষতির মুখে পড়ছেন নিষিদ্ধ পল্লিতে থাকা যৌন কর্মীরা। বুধবার রাতে এই রকম একটি ঘটনার পরে দালালদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন যৌন কর্মীরা। এই ঘটনায় দালালদের হাত থেকে বুধবার গভীর রাতে বিহারের ৫ বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছে নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ জানায়, অভিযুক্ত দালালদের খোঁজ করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, নিষিদ্ধ পল্লিতে সব সময় নজরদারি করা হয়। তারপরেও কেন এমন ঘটনা ঘটছে বা অভিযোগ উঠছে, তার পুলিশ দিতে পারেনি।

Lachhipur Redlight


জানা গেছে, বিহারের গয়া জেলা থেকে পাঁচ জন কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির লছিপুর নিষিদ্ধ পল্লিতে মনোরঞ্জন করতে আসেন বুধবার রাতে। তাদেরকে লছিপুরের দালালরা এক ঘরে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মনোরঞ্জন করে এরপর রাত দুটোর  সময় বিল বাবদ তাদের কাছ থেকে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা চাওয়া হয়। অভিযোগ, দাবি মতো সেই টাকা না দেওয়ায় তাদেরকে অন্য অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে বেঁধে দালালের দল মারধর করে। এর মধ্যে তাদের মধ্যে একজন দালালদের হাত থেকে কোনমতে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়। ঐ ব্যক্তি পালিয়ে জিটি রোডের উপরে আসেন। সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একটি পুলিশ গাড়ির কাছে গিয়ে ঘটনা জানায়।

তড়িঘড়ি পুলিশ গিয়ে ঐ বাড়িতে গিয়ে দালালদের হাত থেকে বাকিদেরকে উদ্ধার করে। এর মধ্যে এক দালাল পুলিশের হাত থেকে বাঁচতে বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দেয় পাশের বাড়িতে ছাদে। সেই বাড়ি ছাদ এ্যাসবেস্টারের হওয়ায় তা ভেঙে যায় ও দালাল বাড়ির ভেতরে ঢুকে যায়। পুলিশ আসার আগে ঐ বাড়ির মহিলা বাসিন্দা ঘরের দরজার তালা খোলায় ওই দালাল আহত অবস্থায় পালিয়ে যায়।
নিষিদ্ধ পল্লির মহিলাদের দাবি, প্রায় দিন এখানে  ছিনতাই ও মারপিটের ঘটনা ঘটছে। আর এইসবের পেছনে রয়েছে দালালদের চক্র।

Leave a Reply