আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে হুমকি, গ্রেফতার দুই অভিযুক্ত
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ অধিকারীরকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে দুজনকে গ্রেফতার করলো আসানসোলের হিরাপুর থানার পুলিশ। ঘটনা ঘটার ২৪ ঘন্টার মধ্যেই এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারের করা নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের ধাদকার বাসিন্দা ধৃতদের নাম হলো নীতিন প্রসাদ ও বিকাশ বর্মন। ধৃতরা অভিযুক্ত প্রোমোটারের কর্মী বলে জানা গেছে। বুধবার ধৃতদেরকে আসানসোল আদালতে পাঠিয়ে ৫ দিনের হেফাজত চেয়েছিলেন এই মামলার তদন্তকারী অফিসার বা আইও। বিচারক সেই আবেদনের ভিত্তিতে দুজনের জামিন নাকচ করে দুদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন।
তবে এই হুমকির ঘটনার মুল অভিযুক্ত প্রোমোটার আশীষ প্যাটেলের খোঁজ পায়নি পুলিশ। একইভাবে পাওয়া যায়নি ঐ প্রোমোটারের কিছু সঙ্গীর খোঁজ। যাদের নাম এক্সিকিউটিভ তার অভিযোগ পত্রে লিখেছিলেন।
প্রসঙ্গতঃ, আসানসোলের জিটি রোডের উষাগ্রাম এলাকায় একটি বেআইনি নির্মাণ আটকে দিয়ে, জরিমানা করায় প্রোমোটারের হুমকির মুখে পড়তে হয় পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ অধিকারীকে। সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ আশীষ প্যাটেল নামে ঐ প্রোমোটার দলবল নিয়ে আসানসোলের ইসমাইলের বিআরএমবি রোডের গুরুনানক পল্লীতে অভিজিৎ অধিকারীর বাড়ি গিয়ে হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠে।
বিষয়টি নিয়ে সোমবার রাতেই হিরাপুর থানার লিখিত ভাবে জানান ঐ এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার। ঘটনার কথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়কেও জানানো হয়। যে প্রোমোটারের বিরুদ্ধে এই হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে, সে আসানসোল দক্ষিণ থানার আড়াডাঙ্গার বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
এই ঘটনা নিয়ে মঙ্গলবার ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক ভি শিবদাসন তরফে দাসু।
বুধবার হিরাপুর থানার এক আধিকারিক বলেন, ঐ ঘটনার অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরেই দ্রুততার সঙ্গে তদন্ত শুরু করা হয়। ২৪ ঘন্টার মধ্যেই দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা ঐ প্রোমোটারের কর্মী বলে জানা গেছে। তাদেরকে হেফাজতে নিয়ে জেরা করে প্রোমোটার ও বাকিদেরকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে।