ASANSOL

আসানসোল শহরকে যানজট মুক্ত করতে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের পরিকল্পনা, পদক্ষেপ পুরনিগম ও পুলিশের

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : রাস্তার পাশের ফুটপাত বেআইনি দখলদারদের হাতে চলে যাওয়ায়, কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে গেছে আসানসোল শহর। মুলতঃ আসানসোল শহরের জিটি রোডের একাংশ এবং হটন রোড ও এসবি গরাই রোডের একবারে বেহাল দশা। তার সঙ্গে রয়েছে বেআইনি টোটোর দাপাদাপি। সবমিলিয়ে নাভিশ্বাস অবস্থা শহরবাসীর।
শেষ পর্যন্ত আসানসোল শহরকে যানজট মুক্ত করতে পরিকল্পনা নিলো আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ। ঠিক করা হয়েছে এসবি গরাই রোড ও হটন রোডের দুপাশের বেআইনী দখলদারদের হঠানো হবে। আপাততঃ তাদেরকে নিজের থেকে সরে যাওয়ার জন্য ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে তারা যদি রাস্তার দুপাশ বা ফুটপাতের অংশ খালি না করে, তাহলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে আসানসোল পুরনিগম কতৃপক্ষ আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। বুধবার এই নিয়ে পুরনিগমের তরফে এই দুই রাস্তায় মাইকিং শুরু করা হয়েছে।


মঙ্গলবার আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় পুর আধিকারিকদেরকে নিয়ে একটি বৈঠক করেন। সেই বৈঠকের পরে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, আসানসোল বাজারের ফুটপাত নিয়ে একটা ভাবনা আগেই নেওয়া হয়েছে। এবার আসানসোল শহরের মুল দুই রাস্তা হটন রোড ও এসবি গরাই রোডকে যানজট মুক্ত করতে বেআইনি দখলদার উচ্ছেদের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। আপাততঃ বেআইনি দখলদারদের সরে যেতে ১৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হবে। তার মধ্যে তারা সরে না গেলে ১৪ ডিসেম্বর থেকে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মেয়র আরো বলেন, আগামী দিনে আরো একটি বড়মাপের বৈঠক করা হবে। তাতে আরটিও এবং পুলিশ আধিকারিকদের ডাকা হবে।


একইসঙ্গে আসানসোল শহরের জিটি রোডের বাজার এলাকায় বেআইনি পার্কিং বন্ধ করতে পদক্ষেপ নিলো আসানসোল দক্ষিণ থানা ট্রাফিক গার্ড পুলিশ। দুদিন আগে থেকে আসানসোলের জিটি রোডের মুল বাজার এলাকায় ( হটন রোড মোড় থেকে আসানসোল পুরনিগম মোড় পর্যন্ত) বেআইনি পার্কিং নিয়ে অভিযান শুরু করেছে আসানসোল দক্ষিণ থানা ট্রাফিক গার্ডের ওসি চিন্ময় মন্ডলের নেতৃত্বে পুলিশ কর্মীরা। আসানসোল পুরনিগম স্বীকৃত পার্কিং জোনের বাইরে যারা গাড়ি রাখছেন, তাদের গাড়ি আটক করা হচ্ছে। করা হচ্ছে জরিমানা। জানা গেছে, লাগাতার এই অভিযান চালানো হবে।
তবে, শহর জুড়ে দাপিয়ে বেড়ানো বেআইনি টোটো নিয়ে কি পরিকল্পনা রয়েছে, তা নিয়ে এখনই কোন কিছু বলতে চাননি মেয়র ও পুলিশ আধিকারিকরা।

Leave a Reply