জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতির গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ, অন্য চালককে মারার অভিযোগ, ভাইরাল ভিডিও
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল ও জামুড়িয়া, দেব ভট্টাচার্য ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের জামুরিয়া তৃণমূল কংগ্রেসের ব্লক – ২ র সভাপতি তথা জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি সিদ্ধার্থ রানার গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জামুড়িয়া থানার ৬০ নং জাতীয় সড়কের তপসি এলাকায় বেশ কিছুক্ষন ধরে বিক্ষোভ দেখান জনাকয়েক মহিলা সহ কয়েকজন। গোটা ঘটনাটি নিয়ে একটি ভিডিও ভাইরালও হয়েছে। যা নিয়ে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।
অভিযোগ সিদ্ধার্থ রানার গাড়ি চালক অন্য একটি গাড়ির চালককে মারধর করেছে। সেই মারে ঐ গাড়ি চালকের মুখ ও কপাল ফেটে রক্ত বেরোয়। একইসঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ উঠে শাসক দলের ব্লক সভাপতি ও পঞ্চায়েত সমিতির সহসভাপতির বিরুদ্ধেও।




সিদ্ধার্থ রানা সংবাদ মাধ্যমকে রাতে বলেন, তপসি রেলগেটের কাছে মঙ্গলবার সন্ধ্যা নাগাদ যানজটের কারনে আটকে যাই। তখন আমি শৌচাগারে যাই গাড়ি থেকে নেমে। পরে ফিরে এসে দেখি আমার গাড়ির চালকের সাথে কয়েকজনের ঝগড়া হচ্ছে। দেখি সামনে অন্য একটি গাড়ির চালকের মুখের সামনে থেকে একটু রক্ত বেরোচ্ছে। আরো দেখি দুই মহিলা তারা অভিযোগ করে চিৎকার করে বলছেন যে, ঐ গাড়ির চালককে আমার গাড়ির চালক মারধর করেছে। আমি তখন বলি আমার গাড়ির চালক তো গাড়ি থেকেই নামেনি। তবুও তারা চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকে। তাতে ভিড় জমে যায়। তাতে আমার গাড়িও আটকে যায়। গোটা ঘটনাটি ঐ মহিলারা তাদের মোবাইল ফোনে ভিডিও করেন।
তিনি আরো বলেন, যতদূর জানতে পেরেছি আহত ঐ চালক চাকদোলারই বাসিন্দা। দলের ঐ এলাকার আঞ্চলিক সভাপতিকে আমি বলে এসেছি চিকিৎসা করানো জন্য। যা খরচ লাগবে চিকিৎসার জন্য সেটা দিয়ে দিতে। আমি পরে দিয়ে দেব। তার দাবি, কিন্তু আমার মনে হয় ঐ গাড়ি চালক পড়ে গিয়ে বা অন্য কোনভাবে ধাক্কা লেগে জখম হয়েছিল। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কিছু মানুষ চলে আসেন। শেষ পর্যন্ত সবাইকে বুঝিয়ে তারপর আমি চলে আসি।
রাত পর্যন্ত এই ঘটনা নিয়ে জামুড়িয়া থানায় কোন অভিযোগ দায়ের করা হয় নি। অন্যদিকে এ নিয়ে বিজেপির রাজ্য নেতা কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন এই হচ্ছে তৃণমূলের আসল চেহারা যা ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে। ভুল করা পরেও তিনি ভুল মানছেন না উল্টা জনগণকে হুমকি দিচ্ছেন।