কুলটির ঘটনায় চাঞ্চল্য, ১৯ নং জাতীয় সড়ক লাগোয়া জমি দখলের অভিযোগ, সরব বিজেপি
বেঙ্গল মিরর, কুলটি ও আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল পুরনিগমের ১৬ নং ওয়ার্ডের কুলটি বিধানসভার পুরনো চৌরঙ্গী ফাঁড়ির কাছে ১৯ নং জাতীয় সড়কের সংযোগরক্ষাকারী রাস্তার পাশে থাকা পুরোনো চৌরঙ্গী পুলিশ ফাঁড়ির জমি জবর দখল করে নিচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই জমি দখলের পেছনে মদত রয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের বলে অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপির পক্ষ থেকে টিঙ্কু বর্মা জানিয়েছেন, স্থানীয় বেকার যুবক যুবতীরা রাস্তার ধারে জীবিকা অর্জনে অস্থায়ী দুই একটি চায়ের দোকান গড়তে পারে। তবে রাস্তার ধারে বিশেষত জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের জমিতে জবর দখল করে স্থায়ী নির্মাণ গড়ে তোলা হচ্ছে। যা শুধু অনৈতিকই নয়, বেআইনি কাজ। তার আরো হুঁশিয়ারী, সরকারি জমি লুঠের এই কারবার অবিলম্বে বন্ধ না হলে বিজেপির দুই বিধায়ক আসানসোল দক্ষিণের অগ্নিমিত্রা পাল ও কুলটির বিধায়ক অজয় পোদ্দারের নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।




যদিও বিজেপির এই অভিযোগ মানতে চাননি শাসক দলের নেতারা। স্থানীয় তৃণমূল নেতা শুভাশীষ মুখোপাধ্যায় বলেন, বিজেপি ভিত্তিহীন অভিযোগ করছে। তৃণমূল কখনো সরকারি জমি জবর দখলকে সমর্থন করেনা। তবে স্থানীয়রা জীবিকার স্বার্থে দু/একটি অস্থায়ী দোকান গড়ে তুলে থাকলে সেসব মানবিক দৃষ্টি ভঙ্গীতে বিচার করা হয়। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন, এমভিআই দফতর বা জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ মাপ করে নিজেদের জমি উদ্ধার করে নিলেই হয়। সেক্ষেত্রে আমাদের কোনো বাধা থাকবেনা।
অন্যদিকে সোমবার জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের এক আধিকারিক ঐ এলাকায় মোবাইল ভ্যানে ডিউটিতে এসে জমি জবর দখল করে নির্মাণ তৈরী করা হচ্ছে দেখে সেই কাজ অবিলম্বে বন্ধ করার আদেশ দেন। সূত্রের খবর, জাতীয় সড়ক সম্প্রসারণের কাজ চলাকালিন পুরোনো চৌরঙ্গী পুলিশ ফাঁড়িটিকে অন্যত্র স্থানান্তরিত করা হয়। নতুন ভাবে তৈরী হয় নতুন চৌরঙ্গী পুলিশ ফাঁড়িটি। বর্তমানে পুরনো পুলিশ ফাঁড়িটি জাতীয় সড়কের সংযোগস্থলে রাস্তা তৈরির জন্য কিছু অংশ ভেঙে ফেলা হয়। বাকি থাকা কিছুটি অংশ দখল করার শুরু করেছিল। আর সেই খবর পেয়ে পৌঁছে জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সেই কাজ বন্ধ করে দিলো। পুলিশের তরফে অবশ্য এই নিয়ে কোন মন্তব্য করা হয়নি। তবে জমি দখলের এই অভিযোগ নিয়ে কুলটি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে।