বছর শেষে নতুন করে করোনার আশঙ্কা, সতর্ক স্বাস্থ্য দপ্তর
পরিকাঠামো যাচাইয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালে মক ড্রিল
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : বছর শেষে নতুন করে দেশে করোনা ভাইরাসের নতুন উপপ্রজাতি ( সাব ভেরিয়েন্ট) জেএন.১ ( বিএ.২.৮৬.১.১) র সংক্রমণের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। নতুন করে এই সংক্রমণে আক্রান্ত হয়ে কেরলে একজনের মৃত্যুও হয়েছে বলে জানা গেছে। কেরলের পাশাপাশি দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু ও কর্ণাটকের মতো কিছু রাজ্যের একাধিক জায়গায় নতুন এই ভাইরাস ছড়িয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু ও কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সব রাজ্যেই নির্দেশ পাঠিয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, যেসব সরকারি হাসপাতালে এই করোনা ভাইরাসের চিকিৎসা করা হতো সেই সব হাসপাতালে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত সব সরঞ্জাম সহ পরিকাঠামো ঠিক আছে কিনা, তা অবিলম্বে খতিয়ে দেখতে হবে। সেই নির্দেশ মতো মঙ্গলবার আসানসোল জেলা হাসপাতালে করোনা ওয়ার্ডের মক ড্রিল করা হলো বলে জানান হাসপাতালে ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায়।
তিনি বলেন, জেলা হাসপাতালে করোনার সময় তৈরি হওয়া ওয়ার্ডটির সব কিছু ঠিক আছে কিনা তা দেখা হয়। সেই সময় যে ২৪টি ভেন্টিলেটার পাওয়া গেছিল সেগুলি হঠাৎ করে প্রয়োজনে চালানো সম্ভব ও করোনা পরীক্ষার জন্য যে যন্ত্র ছিল সেগুলিও ঠিকঠাক আছে কিনা তার সব ভালো করে দেখা হয়। এই মকড্রিলে টেকনিশিয়ান থেকে চিকিৎসক সবাই উপস্থিত ছিলেন। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও স্বাস্থ্য দপ্তরের নির্দেশ মেনে এই কাজ করা হয়েছে। তিনি আরো বলেন, সব কিছুই ঠিক আছে। এই সময় আচমকা যদি করোনা রোগী ভর্তি করা হয় তাহলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়।
এদিকে, পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ মহঃ ইউনুস বলেন, হু ও স্বাস্থ্য দপ্তরে নির্দেশেই এই মকডিল করা হয়। এই জেলায় যদিও গত দু মাসের মধ্যে কোনও করোনা ভাইরাসের কেস পাওয়া যায়নি। তার আগে ১ বা ২ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তবুও বড় কিছু হলে তার প্রস্তুতি যাতে আগে থেকেই সম্পূর্ণ থাকে সেজন্যই এই মকড্রিল করা হলো আসানসোল জেলা হাসপাতালে।