জাতীয় স্তরে শ্রেষ্ঠ শিরোপা রাজ্যের শ্রীরামপুর পুলিশ স্টেশন, ইন্সপেক্টর ইনচার্জ দিব্যেন্দু দাসকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হস্তান্তর করলেন ট্রফি
বেঙ্গল মিরর, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : অবশেষে বহু প্রতীক্ষিত চন্দননগর কমিশনারেটের শ্রীরামপুর থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ দিব্যেন্দু দাস রাজস্থানের জয়পুরে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের হাত থেকে সারা ভারতবর্ষের আনুমানিক ১৩ হাজার ৪৬ টি থানার মধ্যে সেরা থানার ট্রফি গ্রহণ করলেন। বস্তুতঃ , কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দেশের তিনটি সেরা পুলিশ স্টেশনের মধ্যে শ্রীরামপুর থানা নির্বাচন করার কথা ঘোষণা করেছিলেন কিছুদিন আগেই। আর সেই খুশির খবর রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সভায় এই কথা ঘোষণা করেন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/01/img-20240106-wa00028435759164703000612.jpg?resize=500%2C423&ssl=1)
মুখ্যমন্ত্রী তার Xhandle-এ একটি বিবৃতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “গর্বিতভাবে ঘোষণা করছি যে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, আমাদের শ্রীরামপুর পুলিশ স্টেশন (চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট) কে ২০২৩ সালের জন্য সারা দেশের সেরা ৩ টি থানার মধ্যে একটি হিসাবে নির্বাচিত করেছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ৫ জানুয়ারী ২০২৪-এ ব্যক্তিগতভাবে আমাদের সংশ্লিষ্ট অফিসারের কাছে ট্রফি হস্তান্তর করবে। জাতীয় পর্যায়ে আমাদের অনবদ্য প্রমাণপত্রাদি প্রতিষ্ঠার জন্য আমাদের পুলিশ ভ্রাতৃত্বকে ধন্যবাদ।”
মাপকাঠি
কম্পিউটারাইজড রেকর্ড রাখা
সম্পত্তির বারকোডিং
দ্রুত এফআইআর নিবন্ধন
জনসংযোগ যা শ্রীরামপুর থানার অফিসারদের দ্বারা রক্ষণাবেক্ষণ করা একটি পুকুরের পাশে বসা প্রাঙ্গনে প্রবীণ নাগরিকদের বসার স্থান অন্তর্ভুক্ত ছিল
দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলস্বরূপ কার্যকর বিচার পর্যবেক্ষণ
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/01/20240106_0907523564231796219787834.jpg?resize=375%2C500&ssl=1)
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ১৮৮১ সালে স্থাপিত এই থানার ঐতিহ্যগত গুরুত্বও অপরিসীম। রাজ্য পুলিশের ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু দাস ফেব্রুয়ারী ২০১৯ এ ইন্সপেক্টর-ইনচার্জ হিসাবে এই থানায় যোগদান করেন। রাজ্য সরকারের তরফে কেন্দ্র থেকে পুরস্কার গ্রহণের জন্য তাকে জয়পুরে তিনি উপস্থিত ছিলেন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/01/img-20240106-wa00031441142151555508273.jpg?resize=500%2C421&ssl=1)
সূত্রের মতে, শ্রীরামপুর থানা কম্পিউটারাইজড রেকর্ড রাখা, সম্পত্তির বারকোডিং, এফেকটিভ ট্রায়াল মনিটরিং এর ফলে আসল দোষী সাব্যস্ত হওয়া, তাৎক্ষণিক এফআইআর নিবন্ধন, আপডেট করা সিসিটিএনএস, পাবলিক আউটরিচ বা জনসংযোগের মাধ্যমে প্রবীণ নাগরিকদের রক্ষণাবেক্ষণ করা একটি পুকুরের পাশে বসার ব্যবস্থা করেন শ্রীরামপুর থানার অফিসাররা। পুলিশ স্টেশন অবশ্য রিক্রিয়েশন রুমের মতো বিষয়ে ভালো স্কোর করতে পারেনি। কিন্তু আধিকারিকরা এই জায়গা ইস্যুটির জন্য আরও ভাল রক্ষণাবেক্ষণ এবং প্রতিক্রিয়া এবং রেকর্ড পুনরুদ্ধারের তৎপরতার মাধ্যমে
এই বিষয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেটের পুলিশ কমিশনার অমিত জাভালগি বলেন, “একটি এমএইচএ ( মিনিস্ট্রি অফ হোম অ্যাফেয়ার্স ) টিম বেশ কয়েক সপ্তাহ আগে একটি স্পট পরিদর্শন করে এবং আমাদেরকে বিভিন্ন সূচকে স্থান দেয়৷ এর মধ্যে নাগরিকদের সাথে জনসংযোগ অন্তর্ভুক্ত ছিল৷ পুরস্কারটি ইন্সপেক্টর দাস এবং তার ঊর্ধ্বতন আধিকারিকদের কঠোর পরিশ্রমের প্রমাণ৷ শ্রীরামপুরের জন্য দেশের সেরাদের মধ্যে হওয়া এবং বাংলার একমাত্র পুলিশ স্টেশন যে এই কৃতিত্ব অর্জন করেছে, তা হল – রাজ্য পুলিশের সকলের জন্য গর্বের মুহূর্ত।”
এই ব্যাপারে জয়পুরে থেকে ইন্সপেক্টর দিব্যেন্দু দাস বেঙ্গল মিরর কে বলেন, এটি শুধু শ্রীরামপুর নয় সারা রাজ্যের জন্য গর্বের বিষয়। ভীষন আনন্দিত এই পুরস্কার রাজ্যেকে দিতে পেরে। এটি শ্রীরামপুর থানার সমস্ত কর্মীদের নিরলস প্রয়াসের ফল। সকল শুভাকাঙ্খীদের ধন্যবাদ জানাই।”
বস্তুত বলে রাখা ভাল, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পুলিশ আধুনিকীকরণ বিভাগের তত্ত্বাবধানে সারা দেশে সেরা থানার র্যাঙ্কিংয়ের অনুশীলন পরিচালিত হয়, যেখান থেকে সারা দেশে সংক্ষিপ্ত থানার তালিকা তৈরি করা হয় এবং তারপরে সংক্ষিপ্ত তালিকাভুক্ত থানার একটি সার্ভে করা হয়। পুলিশ স্টেশনগুলিকে নির্বাচিত মানদণ্ডের উপর ভিত্তি করে তাদের পারফরম্যান্সের উপর ভিত্তি করে র্যাঙ্ক করা হয়, এমএইচএ-র এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।