BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

আসানসোলের সালানপুরে যুবতী খুনের ঘটনা, ধৃতকে নিয়ে ” পুনর্নির্মাণ ” পুলিশের

বেঙ্গল মিরর, কাজল মিত্র, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ আসানসোলের সালানপুর থানার বোলকুন্ডার যুবতী মিঠু রায়ের খুনের ঘটনার তদন্তে ” রিকনস্ট্রাকশন বা পুনর্নির্মাণ ” করলো সালানপুর থানার পুলিশ।সোমবার সকালে সালানপুর থানার পুলিশ ধৃত লাল্টু চট্টোপাধ্যায়কে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসে। সেখানে এই খুনের ঘটনার পুনর্নির্মাণের মাধ্যমে ধৃত পুলিশকে জানায় ঠিক কি কি হয়েছিলো।
এছাড়া এদিন বোলকুন্ডা রাস্তার পাশে জঙ্গল থেকে হলুদ রঙের থলি বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। সেই থলির ভেতরে মিঠু রায়ের পড়নের কিছু কাপড় , মদের বোতল, কাঁচের গ্লাস ও একটি ছাতা সহ বিভিন্ন জিনিসপত্র পাওয়া যায়। এরপর পাহাড়গোড়ার লাল্টু চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে খুনের পরে মৃতদেহ নিয়ে যাওয়ার সময় ব্যবহৃত তিনচাকার কভার অটোরিকশা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এদিন পুলিশকে ধৃত জানায়, পাহাড়গোড়া থেকে বোলকুন্ডা যাওয়ার রাস্তায় বিশ্রাম বুড়ি মন্দিরের পিছনে এক জলাশয় বা পুকুরের মধ্যে মিঠু রায়ের মোবাইল ফোনটি ফেলেছে। সেইমতো পুলিশ ঐ জলাশয়ে বেশ কয়েকজন যুবককে নামিয়ে তল্লাশি চালানো হয়। কিন্তু মোবাইল ফোনটিকে পাওয়া যায় নি।


প্রসঙ্গতঃ, গত ৯ জানুয়ারি মঙ্গলবার মিঠু রায় পিকনিক করতে যাওয়ার বোলকুন্ডার ভাড়াবাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলো। পরের দিন বুধবার দুপুরে তিনটে বাড়ি ফিরে আসার কথা ছিলো তার। কিন্তু মিঠু রায় সেদিন বাড়ি আসেনি। পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে বোলকুন্ডা থেকে মাধাইচক যাওয়ার রাস্তায় জঙ্গল থেকে উদ্ধার হয় মিঠু রায়ের অর্ধনগ্ন দেহ। আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পরে পুলিশ জানতে পারে, মুখ চাপা দিয়ে শ্বাসরোধ করে তাকে খুন করা হয়েছে। তবে তার উপর কোন শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। এরপর পুলিশ একটি খুনের মামলা করে তদন্তে নামে। প্রথমে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ ও পরে এই খুনের ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ মিঠু রায়ের ভিক্ষা দাদা লাল্টু চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে। তাকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
কিন্তু লাল্টুকে গ্রেফতার করার পরে মিঠু রায়ের বাবা দামোদর রায় বলেন, পুলিশ নির্দোষকে ফাঁসিয়েছে। লাল্টু মেয়েকে খুন করতে পারে না।
যদিও, পুলিশের তরফে দাবি করা হয়েছে, তথ্য প্রমানের ভিত্তিতেই ঐ যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাশাপাশি ঐ যুবক গোটা ঘটনার কথা স্বীকার করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *