RANIGANJ-JAMURIA

রানীগঞ্জ বেঙ্গল পেপার মিলে সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : পশ্চিম বর্ধমানের শিল্পাঞ্চলে আরও এক কারখানা বন্ধের প্রহর গুনতে শুরু করল মঙ্গলবার থেকে। ইতিমধ্যেই বহু কলকারখানা বন্ধের পর এবার শিল্পাঞ্চলের ঐতিহ্য বহন করে আসা রানীগঞ্জ বেঙ্গল পেপার মিলে, মঙ্গলবার সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ ঝলানোয়, অনিশ্চিত হয়ে পড়ল ৩০০ জন শ্রমিকের রুজি রোজগার। এর পূর্বে ১৬ ও ২৪ শে জানুয়ারি দু – দফায় শ্রমিকদের বকেয়া বেতন প্রদান করার নোটিশ দেওয়া হয়েছিল, পেপার মিল কর্তৃপক্ষ তরফে, তবে তা কার্যকর হয়নি। এর জেরে শ্রমিকেরা বারংবার কারখানার গেটে বিক্ষোভ দেখায়। পরে চিঠি করা হয় জেলা শ্রম দপ্তরের আধিকারিকের কাছে । কিন্তু তারপরও কোন সমস্যার সমাধান হয়নি। এবার উল্টে কোনো বকেয়া না দিয়ে, ঝোলানো হলো সাসপেনশন অফ ওয়ার্কের নোটিশ, যা নিয়ে খুবই পুষছে ক্ষোভে ফুঁসছে শ্রমিকেরা।

শ্রমিকদের দাবি কারখানা কর্তৃপক্ষ আর্থিক ক্ষতিপূরণের অজুহাতে, বন্ধ করছে কারখানা, অথচ কাগজ শিল্পের বাজারে চাহিদা রয়েছে। তারপরও কখনো কারখানার কাঁচামাল মিলছে না, কখনো অন্য কোন অজুহাত দেখাচ্ছে তারা। যা কারখানা কর্তৃপক্ষের সদিচ্ছার অভাব বলেই দাবি তাদের। মঙ্গলবার এ বিষয়ের প্রেক্ষিতেই প্রতিবাদের সরব হল পেপার মিলের শ্রমিকেরা। কোন রাজনৈতিক ব্যানার ছাড়াই তারা এদিন প্রতিবাদের সরব হয়। তাদের দাবি বিনা নোটিশে ৭ই জানুয়ারি থেকে মিল বন্ধের পর, এবার সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ ঝলালো মিল কর্তৃপক্ষ, যা একেবারে বেআইনি। এক মাস ধরে বকেয়া বেতন বাকি, আর একমাস ধরে কাজ ছেড়ে বসে রয়েছে তারা, কিন্তু তারপর হঠাৎ করেই মঙ্গলবার সকাল ছটা নাগাদ ঝোলানো হলো সাসপেনশন অফ ওয়ার্ক এর নোটিশ, যা নিয়ে হতাশ শ্রমিকেরা এবার প্রতিবাদে সরব হয়ে দাবি করে, অবিলম্বে কারখানা খোলা হোক, আর বকেয়া বেতন প্রদান করুক কর্তৃপক্ষ।

তাদের এও দাবি তাদের যেহেতু কোনো নোটিশ না দিয়ে 7 জানুয়ারি থেকে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে 29 তারিখ পর্যন্ত, তাই সেই সময় পর্যন্ত সমস্ত বকেয়া বেতন প্রদান করতে হবে, কারখানা কর্তৃপক্ষকে। আর এই দাবি মানা না হলে তারা লাগাতার ধর্না আন্দোলনে যাওয়ার পাশাপাশি, প্রয়োজনের জাতীয় সড়ক অবরোধ করে প্রতিবাদে সামিল হবেন বলেও দাবি করেন। যদিও এতসব বিক্ষোভ আন্দোলনের পরও কারখানা কর্তৃপক্ষের তরফে কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি, তারা এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি। এখন দেখার কখন স্বাভাবিক হয়, এই কারখানা। সেদিকেই তাকিয়ে সকল শ্রমিকেরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *