RANIGANJ-JAMURIA

ইসিএলের আবাসন দখলমুক্ত করতে গিয়ে ছড়ালো চরম উত্তেজনা

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, রানীগঞ্জ : ই.সি.এ.লের খনি আবাসন দখলমুক্ত করতে গিয়ে ছড়ালো চরম উত্তেজনা। ঘটনাস্থলে ই.সি.এল নিরাপত্তা রক্ষী, সি.আই.এস.এফ. ও রাজ্য পুলিশ পৌঁছে সামাল দিল পরিস্থিতি। ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় ই.সি এলের কুনুস্তড়িয়া এরিয়ার, বাঁশড়া কোলিয়ারির মসজিদ পাড়া, যা ভাগলপুর সেন্টার আবাসন এলাকা নামে পরিচিত, সেই অংশেই এবার বাঁশড়া কোলিয়ারির মাইনিং সদ্দার, সাগর রাঠোর খনি আবাসনে বসবাস করতে এসেই ঘটল বিপত্তি। দীর্ঘ প্রায় ছয় মাস ধরে এই খনি আবাসন টিতে তাকে রেস্ট রুম হিসেবে ব্যবহার করতে দিয়েছিলেন ই.সি.এল কর্তৃপক্ষ।

অভিযোগ শুক্রবার রাত্রে তিনি কাজে যোগ দিয়ে, শনিবার সকালে তিনি আবাসনে ফিরে এসে দেখেন, পাশেই বসবাস করা এক পরিবার সেই অংশে তার অনুপস্থিতির সুযোগ নিয়ে, সেই আবাসনে বসবাস করতে শুরু করেছে। সাগর রাটোরের দাবি, তিনি বারংবার সেই দরজা নেড়ে তাদের ডাকার চেষ্টা করলেও কোন সদুত্তর মেলেনা, এই বিষয়টি লক্ষ্য করে, ভেতর থেকে দরজা বন্ধ করার বিষয়টি দেখার পর, তিনি তা নিয়ে খনি কর্তৃপক্ষের খবর দিলে, তারা দ্রুত ইসিএল নিরাপত্তা রক্ষী, সি.আই.এস.এফ ও রাজ্য পুলিশের আধিকারিকদের খবর দিয়ে, তাদের সঙ্গে নিয়েই ওই আবাসন দখল মুক্ত করতে উদ্যোগ নেন। শনিবার সকাল থেকেই এই বিষয়টি ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, খনি আবাসন এলাকায়। যদিও সমস্ত উত্তেজনাময় পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ ও অন্য সকল নিরাপত্তা রক্ষী।


এদিকে ওই আবাসন টিতে বসবাস করা এক মহিলার দাবি, তাকে বসবাসের জন্য অনুমতি দেওয়ার পরই তিনি সেখানে বসবাস করতে গেছিলেন।
যদিও সমস্ত বিষয়টিকে নিয়েই কর্তৃপক্ষ ধন্ধে রয়েছেন। শনিবার এ বিষয়ে ইসিএল কর্তৃপক্ষ পাঞ্জাবি মোড় ফাঁড়িতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য খনি আবাসনের জবর দখলের ঘটনায় প্রথম নয় এর আগেও বহু অংশে আবাসন দখলের বিষয়কে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা লক্ষ্য করা গেছে তা নিয়ে বারংবার খনি কর্তৃপক্ষ অভিযোগ দায়ের ও করেছেন প্রশাসনিক স্তরে। এবার এই অংশে আবাসন দখলের বিষয়কে ঘিরে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করে খনি কর্তৃপক্ষ সেটাই এখন দেখার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *