ASANSOL

বিয়ের মাত্র ৭ মাস, বধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার, গ্রেফতার স্বামী

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ বিয়ের মাত্র ৭ মাসের মধ্যেই শ্বশুর বাড়ি থেকে গলায় দড়ি দেওয়া এক গৃহবধূর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হলো। শুক্রবার রাতের এই ঘটনায় আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের শ্রীনগর এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। মৃত গৃহবধূর নাম সোনিয়া মেহেরা (১৯)। শনিবার সকালে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ম্যাজিস্ট্রেটের রিপোর্টের ভিত্তিতে গৃহবধূর মৃতদেহর ময়নাতদন্ত হয়। মৃতার বাপের বাড়ির লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ রোহিত দাসকে গ্রেফতার করেছে।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, আসানসোল উত্তর থানার রেলপারের শ্রীনগরের বাসিন্দা রোহিত দাসের সঙ্গে আসানসোলের সালানপুর থানার নাকড়াজোড়িয়া গ্রামের সোনিয়া মেহেরার সাথে বিয়ে হয় প্রায় ৭ মাস আগে। বিয়ের সময় সোনিয়ার বাপের বাড়ি থেকে পন হিসাবে নগদ টাকা, সোনার গয়না সহ অন্যান্য জিনিস পন হিসাবে দেওয়া হয়। কিন্তু, অভিযোগ বিয়ের মাস খানেক পর থেকে সোনিয়ার উপর অত্যাচার চালানো শুরু করে তার শ্বশুর বাড়ির লোকেরা বলে। শুক্রবার রাতে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে তার মৃত্যুর খবর পায় সোনিয়ার বাপের বাড়ির লোকেরা। খবর পেয়ে বাপের বাড়ির লোকেরা আসানসোলে পৌঁছে দেখেন সোনিয়ার শ্বশুর বাড়ির দরজা বন্ধ কেউ নেই। এরপরে তারা এলাকার বাসিন্দাদের কাছ থেকে খবর পান যে, সোনিয়াকে গলায় দড়ি দেওয়া ঝুলন্ত অবস্থায় বাড়ির মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়।

তবে সোনিয়ার মৃতদেহ শুক্রবার বাপের বাড়ির লোকেরা দেখতে পাইনি বলে জানিয়েছেন। দেহটি পুলিশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য আসানসোল জেলা হাসপাতালে পাঠায়। এরপর সোনিয়ার পরিবারের পক্ষ থেকে আসানসোল উত্তর থানায় অভিযোগ জানানো হয়। সোনিয়ার জ্যাঠা সন্তোষ মেহেরা বলেন, বিয়ের পর থেকেই সোনিয়াকে বাপের বাড়ি থেকে আরো টাকা ও মোটরসাইকেল নিয়ে আসার জন্য চাপ দেওয়া শুরু হয়। তা আনতে না পারায়, তাকে স্বামী সহ শ্বশুর বাড়ির লোকেরা খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে। আমরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি। পুলিশ জানায়, ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে। মৃতার স্বামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Leave a Reply