পশ্চিম বর্ধমান জেলা ছুঁয়ে বীরভূমে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়
বেঙ্গল মিরর, অন্ডাল ( দূর্গাপুর), রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ( CM Mamata Banerjee at Durgapur ) রাত পোহালেই বীরভূমে দুদিনের জেলা সফরে আসছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের জেলা সফরকে ঘিরে গোটা বীরভূম জুড়ে সাজসাজ রব। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি। শনিবার রাত আটটা নাগাদ পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরের অন্ডাল এয়ারপোর্ট বা কাজি নজরুল ইসলাম বিমানবন্দর নামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাকে সেখানে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক এবং জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের সভাপতি নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী। ছিলেন আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী সহ অন্যান্যরা।
বিমানবন্দরের বাইরে দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রীকে দেখতে দলের পতাকা নিয়ে হাজির ছিলেন শতাধিক তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকেরা। মুখ্যমন্ত্রী গাড়িতে উঠার আগে দলের কর্মী ও সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হাত নাড়েন। মুখ্যমন্ত্রীকে দেখে তারা স্লোগান দেন। এরপরে গাড়িতে চেপে সড়কপথে বীরভূমের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিনিকেতন বরাবরই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত প্রিয় ও ভালোবাসার জায়গা। এদিন রাতে আমারকুটির রাঙ্গাবিতান সরকারি রিসর্টে থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রীর।
জানা গেছে, রবিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাবেন বীরভূমের জেলার সদর শহর সিউড়িতে। সিউড়ির চাঁদমারি মাঠে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারি কর্মসূচিতে যোগ দেবেন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লা খনি হিসেবে পরিচিত ডেউচা পাঁচামী। কয়লা খনি প্রকল্পের জন্য জমিদাতাদের সরকারি নিয়োগপত্র তুলে দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি একাধিক সরকারি প্রকল্পের উদ্বোধন ও শিলান্যাস করবেন তিনি। অনুষ্ঠানের শেষে সিউড়ি থেকেই আকাশপথে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গতঃ, আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের মুখে অনুব্রতহীন বীরভূম জেলায় এক বছর পর ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর। বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব কে নিয়ে বৈঠক করতে পারেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কাজল কেষ্ট দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্বে বারবার তপ্ত হচ্ছে বীরভূম। নানুরে কেষ্ট গোষ্ঠীর লোকজনদের মারধরের অভিযোগ উঠেছিল কাজলের লোকজনদের বিরুদ্ধে। খুব স্বাভাবিকভাবেই বীরভূমের লালমাটির জেলায় মাটিতে কান পাতলেই দিনের আলোর মতো পরিষ্কার কাজল কেষ্ট দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব। দলগতভাবেই এই বিষয়গুলি নিয়ে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বার্তা দেন ? সেদিকেই তাকিয়ে সবাই।
সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কালিঘাটে বীরভূম জেলা তৃণমূল নেতৃত্বকে নিয়ে বৈঠকে কাজলকে তিরস্কার করেছিলেন বলে জানা যায় । কেষ্টহীন বীরভূম জেলায় তৃণমূলের কোর কমিটিতে বাদ পড়েছে কাজল। পরবর্তী সময়ে ড্যামেজ কন্ট্রোলে নেমেছিল বীরভূমের তৃণমূল পর্যবেক্ষক ফিরহাদ হাকিম। এই বিষয়টি নিয়েও তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি বার্তা দেন দলীয় নেতাকর্মীদের ? সেদিকে তাকিয়েও বীরভূম জেলার রাজনৈতিক মহলও।