বিজেপির তিন নেতার নামে পুলিশের মামলা, প্রতিবাদে আসানসোলে জিটি রোড অবরোধ, বিক্ষোভ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* সন্দেহখালির ঘটনার প্রতিবাদে দুদিন আগে গত রবিবার আসানসোলের বারাবনি বিধানসভা এলাকায় ভারতীয় জনতা যুব মোর্চার আসানসোল সাংগঠনিক জেলার ডাকে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। পুলিশের কাছ থেকে অনুমতি না নিয়ে এই আন্দোলন করায় বারাবনি থানা বিজেপির জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, যুব মোর্চার সভাপতি বাবন মন্ডল সহ তিনজনের নামে মামলা করে। যেসব ধারায় মামলা করা হয়েছে, তারমধ্যে বেশ কয়েকটি জামিন অযোগ্য ধারা রয়েছে।
এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে আসানসোল দক্ষিণ বিধান সভার বিধায়ক তথা রাজ্য সম্পাদক অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে বিজেপি যুব মোর্চার পক্ষ থেকে আসানসোলের জিটি রোডের ভগৎ সিং মোড়ে রাস্তা অবরোধ করা হয়। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ কৌশিক কুন্ডুর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় আসে। বিধায়ক জিটি রোডে বসে বিক্ষোভ দেখান।




এই আন্দোলনে বিজেপি যুব মোর্চার নেতা ও কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। পুলিশ বিজেপি বিধায়ককে আন্দোলন তুলে নিতে বললে, তিনি রীতিমতো ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। পুলিশ অফিসারদের সঙ্গে তিনি বাকবিতন্ডায় জড়িয়েও পড়েন। গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
বিজেপি বিধায়ক বলেন, বিজেপির পক্ষ থেকে সন্দেশখালি সহ রাজ্য জুড়ে তৃনমুল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীদের দূর্নীতি ও সংঘটিত নৃশংসতার প্রতিবাদ করা হচ্ছে। বাংলার মানুষের সামনে তৃণমূল কংগ্রেসের অপকর্মের কথা তুলে ধরা হচ্ছে। এরজন্য প্রতিশোধ নিতেই বিজেপির জেলা সম্পাদক সহ তিন জনের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, এখন রাজ্যে পুলিশ বলে কিছু নেই। পুলিশ তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীদের হয়ে গেছে। তবে এইভাবে আমাদেরকে আটকানো যাবে না। এদিন ৩০ মিনিটের মতো জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়।
অন্যদিকে, মামলা হওয়া তিনজনের অন্যতম বিজেপির জেলা সম্পাদক বলেন, সেদিনের জমায়েত ও সাধারণ মানুষের উৎসাহ দেখে শাসক দল ভয় পেয়েছে। তাই আমাদেরকে দমিয়ে রাখতে মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে।