DURGAPUR

কাঁকসায় আক্রমণাত্মক মমতা বালা ঠাকুর, সিএএ নিয়ে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ, লোকসভা নির্বাচনে মুখ্যমন্ত্রীর পাশে মতুয়ারা

বেঙ্গল মিরর, দূর্গাপুর, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* সাধারণ মানুষকে সমস্যায় ফেলা ছাড়া আর কোন কিছুই করছে না বিজেপি। যতদিন বিজেপি সরকার নাগরিকত্ব ইস্যু তুলবে ততদিন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ তার বিরোধিতা করবে বলে আবারও হুঁশিয়ারি দেন অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহা সংঘের সংজ্ঞাধিপতি মমতা বালা ঠাকুর।
বুধবার বিকেলে পশ্চিম বর্ধমান জেলার দূর্গাপুরে কাঁকসার আইলা পাড়াতে শ্রীশ্রী হরিচাঁদ ঠাকুর এবং জগৎ মাতা শান্তি দেবীর মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের সাথে সাক্ষাৎ করে তাদের সমস্যার কথা শুনেন মমতা বালা ঠাকুর।
মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের তিনি পাশে থাকার আশ্বাস দেন।


পরে এদিন সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, কেন্দ্রের বিজেপি সরকার সাধারণ মানুষকে কিভাবে সমস্যায় ফেলা যায়, সেই পরিকল্পনা করছে। গত দশ বছর ধরে নথিপত্র জমা দিতে গিয়ে মানুষ বিভ্রান্ত হয়ে পড়েছেন। কিভাবে তারা শান্তি ভাবে বসবাস করবে সেই নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন সাধারণ মানুষ। তিনি আরো বলেন, বিজেপি সরকার আবার নতুন করে সিএএর মাধ্যমে নাগরিকত্ব যাচাই কথা ঘোষণা করেছে। কিন্তু এই বিষয়ে আজও তা কার্যকর হয়নি। বিজেপি শুধুমাত্র ভাঁওতাবাজি করে। আর তারা ভয় দেখিয়ে চলেছে। কারণ  সামনেই লোকসভা নির্বাচন। ফের বিজেপি নতুন করে স্লোগান তুলেছে ‘ভোটটা আমাদের দাও আমরা তোমাদের নাগরিকত্ব দেব’। কিন্তু মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা বিজেপির ভাঁওতা বাজিতে কোনো মতেই পা দেবে না।


তার দাবি, আগে সরকার বিল পাস করুক ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে থেকে যারা ভারতে রয়েছে তাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হোক। সেই দিন ধরে যদি নাগরিকত্ব দেওয়া হয় তবে তাতে তারা রাজি হবেন। তবে শর্ত এটাই থাকবে এই বিল পাস হলে কোন রকম নাগরিকত্বের প্রমাণপত্র কোনভাবেই জমা নেওয়া হবে না। কারণ বর্তমানে জন্মের প্রমাণপত্র সহজে পাওয়া গেলেও আগে জন্মের প্রমাণপত্র পাওয়া যেত না। ফলে যার সন্তানদের জন্ম শংসাপত্র রয়েছে তাদের পিতাদের বা পরিবারের প্রবীনদের জন্মের পরিচয় পত্র নেই। তাহলে তাদের কি হবে। তারা তাদের জন্মের প্রমাণপত্র দেখাতে পারবে না।


তিনি বলেন, মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষেরা আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই থাকবেন। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিরকাল মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষদের পাশে রয়েছেন এবং তাদের উন্নয়নের জন্য কাজ করে চলেছেন। তাদের আন্দোলনের সঙ্গে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও বারবার এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *