National

ভোটারদের সচেতন করতে ব্যাঙ্ক ও ডাক বিভাগের সাথে মৌ নির্বাচন কমিশনের

২০১৯ সালের গত লোকসভা  নির্বাচনে দেশের ৩০ কোটি ভোটারই ভোট দেননি

বেঙ্গল মিরর,   দেব ভট্টাচার্য, আসানসোল। ২০১৯ সালের গত লোকসভা  নির্বাচনে দেশের ৩০ কোটি ভোটারই ভোট দেননি। সেবার দেশে ভোটারের সংখ্যা ছিল ৯১ কোটি। ‌‌ফলে একটা বিপুল সংখ্যক ভোটার ভোট দিতে যাননি ভোটকেন্দ্রে। সেবার সারাদেশে ভোটদানের গড় হার ছিল ৬৭.৪%। এই বিষয়টি মাথায় রেখে এবার ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে যাতে সর্বোচ্চ সংখ্যক ভোটার ভোট দেন সেজন্য জাতীয় নির্বাচন কমিশন অভূতপূর্ব উদ্যোগ গ্রহণ করল। এই প্রথম ভোটারদের সচেতন করা, তাদের দায়িত্ব সম্বন্ধে ওয়াকিবহাল করা এবং ভোট দানের পদ্ধতি ও পদক্ষেপ বিষয়ে সবিস্তার জানিয়ে উদ্বুদ্ধ করার জন্য দেশের সর্ববৃহৎ দুটি সংস্থার সঙ্গে মৌ চুক্তিপত্র স্বাক্ষর করল। নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে এই  মৌ বা মেমোরেন্ডাম অফ আন্ডারস্ট্যান্ডিং হলো ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন ও ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট-এর। দেশের সর্বত্র ছড়িয়ে থাকা ১ লক্ষ ৫৬ হাজার পোস্ট অফিস, দু’লক্ষের বেশি এটিএম এবং ১ লক্ষ ৬০ হাজার  বিভিন্ন ব্যাংকের শাখার মাধ্যমে ভোটারদের ভোট দানে উৎসাহ দেওয়ার বিশেষ পদক্ষেপ এই চুক্তিপত্রে উল্লেখ করা হয়। ‌‌


সোমবার দিল্লির নির্বাচন সদনে এই “মৌ” স্বাক্ষরের সময় উপস্থিত ছিলেন দেশের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিক রাজীব কুমার, নির্বাচন আধিকারিক অরুণ গোয়েল; ডিপার্টমেন্ট অফ পোস্ট-এর সচিব বিনীত পান্ডে, ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশনের চিফ এক্সিকিউটিভ সুনীল মেহতা সহ অন্যান্যরা। ‌এর ফলে ব্যাংক এবং পোস্ট অফিস তাদের বিস্তৃত নেটওয়ার্কের মাধ্যমে ভোটারদের সচেতন করতে বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। ‌‌ ওই সব সংস্থার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে এবং সংস্থাগুলির অফিস কার্যালয়ে পোস্টার ফ্লেক্স হোর্ডিং ইত্যাদি প্রদর্শন করে সকলের ভোটদানের বিষয়টিকে নিশ্চিত করবে। এই উদ্যোগ যুগান্তকারী বলে উল্লেখ করা হয়েছে।


ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া র সর্বভারতীয় অফিসার এসোসিয়েশনের  চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস বলেন এই চুক্তির মধ্যে দিয়ে আরেকবার প্রমাণিত হলো রাষ্ট্রীয় ডাকঘর এবং ব্যাংকগুলির গুরুত্ব আমজনতার কাছে কত বেশি। তা প্রমানও করল ভারতবর্ষের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন। আমজনতার ভরসা  ব্যাংক এবং ডাকঘরগুলি কাজের জন্য গর্বিত আমরা। ফলে অনেক বেশি নাগরিককে ভোটদানে উদ্বুদ্ধ করা যাবে।
অপরদিকে আসানসোল ডিভিশনের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অফ পোস্ট অফিস  সুব্রত সামন্ত বলেন এতে গণতন্ত্র আরও অনেক বেশি সুদৃঢ় হবে ।আমাদের আসানসোল ডিভিশনের ২১০ টি ডাকঘরে শাখার মধ্যে দিয়ে শিল্পাঞ্চলজুড়ে ভোটারদের উদ্বুদ্ধ করা সম্ভব হবে কেননা ডাকঘরে গ্রামীণ এলাকার মানুষ থেকে শহরে প্রতিদিন হাজার হাজার আহুকরা কোনো না কোনো কাজে  এখানে আসে। নির্বাচন কমিশনের এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি সিদ্ধান্ত ।আমরা নির্বাচন কমিশনের চুক্তি মত সেই দায়িত্ব পালন করব সকলে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *