আসানসোলে “জনগর্জন সভা ” র প্রস্তুতি সভায় রাজ্য সহসভাপতি জয়প্রকাশ মজুমদার, আক্রমণ অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও তাপস রায়কে
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ ( Asansol News Today ) আসানসোলে “জনগর্জন সভা” র প্রস্তুতি সভায় যোগ দিতে এসে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি ও সদ্য দল ও বিধায়ক পদ ছাড়া তাপস রায়কে আক্রমণ করলেন তৃনমুল কংগ্রেসের রাজ্য সহসভাপতি ও মুখপাত্র জয়প্রকাশ মজুমদার। এদিন সকালে আসানসোলের রবীন্দ্রভবনে পশ্চিম বর্ধমান জেলা তৃনমুল কংগ্রেসের তরফে এই সভার আয়োজন করা হয়েছিলো। সেই সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় জয়প্রকাশ মজুমদার বলেন, আমরা তো প্রথম থেকেই বলছিলাম হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির প্রথম থেকেই উদ্দেশ্য ছিলো রাজ্যের শাসক দলকে অপদস্ত ও হেয় করা। তখন আমাদেরকে অনেকে অনেক কথা বলছিলেন। আজ তা প্রমাণিত হলো। তিনি স্বেচ্ছাবসর নেওয়ায় তার মতো একজন বিচারপতির হাত থেকে মুক্তি পেলো গোটা বিচার ব্যবস্থা। যা সবার পক্ষেই মঙ্গল হলো। আর তিনি এতদিন ধরে যেসব মামলায় নির্দেশ দিয়েছেন, তার সবটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রনোদিত ছিলো। কেননা, তার প্রায় সব নির্দেশ ডিভিশন বেঞ্চ বা সুপ্রিম কোর্ট খারিজ করে দিয়েছে। তিনি এমন বিচারপতি যে, সুপ্রিম কোর্টকেও আক্রমণ করতে ছাড়েন নি।




জয়প্রকাশবাবু আরো বলেন, বিচারপতি নিজেই বলেছেন, উনি রাজনৈতিক দলে যোগদান। ভালো সিদ্ধান্ত। তাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। তবে যে দলে তিনি যাবেন, তারা পরে বুঝতে পারবেন যে, কাকে তারা নিয়েছে। তাদের তখন ” ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি অবস্থা ” হবে। এর অপেক্ষায় আমরা থাকলাম।
এদিন দল ও বিধায়ক পদ ছাড়া তাপস রায়ের প্রসঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের রাজ্য মুখপাত্র বলেন, কে, কোথায় যাবে বা যাবে না সেটা তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। সবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার গনতান্ত্রিক অধিকার আছে। তাপস রায়কে সেই কংগ্রেসে থাকার সময় থেকে চিনি। যখন আমরা সবাই জোটবদ্ধ হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্ব লড়াই করছি, তখন তার দল না ছাড়াটাই মনে হয় ভালো ছিলো। তিনি কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তা তিনি বলতে পারবেন। তবে তার সব কথা শুনে আমার মনে হচ্ছে, একটা মানঅভিমানের জায়গা আছে। সেটা তিনি দলের শীর্ষ নেতৃত্বর সঙ্গে কথা বলে মিটিয়ে নিতে পারতেন। তবে একটা কথা বলতে পারি, রাজনীতির ক্ষেত্রে মানঅভিমান চলেনা। সব সময় সবকিছু মেনে নিতে হয়। তার অন্য কোন দলে যাওয়ার উদ্দেশ্য সফল হোক, সেই কামনা করি।
এদিন একইসঙ্গে জয়প্রকাশ মজুমদার প্রথমে কুনাল ঘোষের নাম না করে কটাক্ষের সুরে বলেন, আমি পদত্যাগ করা দলের মুখপাত্র নই। আমি দলের রাজ্য মুখপাত্র। তাই যা বলি সেটা দলের কথা। আর সম্প্রতি তার কিছু কথা দল ভালোভাবে নেয়নি। তাই তাকে এদিন শোকজ করা হয়েছে।