রানিগঞ্জে প্রাক্তন সাংসদের নেতৃত্বে জাতীয় সড়ক অবরোধ, বিক্ষোভ মিছিল
বেঙ্গল মিরর, রানিগঞ্জ, চরণ মুখার্জি ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের রানিগঞ্জে বল্লভপুর পেপার মিল গত তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে। দেওয়া হয়নি বকেয়া বেতনও। এর ফলে ঐ পেপার মিলের কর্মী ও তাদের পরিবার আর্থিক সমস্যায় পড়েছেন।
লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কয়েক ঘন্টা আগে শনিবার সকালে রানিগঞ্জে পেপার মিল খোলার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করা হয়। আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ তথা সিটুর জেলা সম্পাদক বংশগোপাল চৌধুরী, দুই প্রাক্তন বিধায়ক গৌরাঙ্গ চট্টোপাধ্যায় ও রুনু দত্ত এবং সিপিএমের রানিগঞ্জ সম্পাদক সুপ্রিয় রায়ের নেতৃত্ব বেঙ্গল পেপার মিলের কর্মীদের নিয়ে এই মিছিল শুরু হয় রানিগঞ্জের নিচু পাঞ্জাবি মোড় থেকে।
এই মিছিলে সিটু ও সিপিএমের কর্মীরাও ছিলেন। সেই মিছিল গিয়ে শেষ হয় উপর পাঞ্জাবি মোড়ে। মিছিল শেষ হওয়ার পরে পেপার মিলের কর্মীরা ১৯ নং জাতীয় সড়ক, ৬০ নং জাতীয় সড়ক ও সার্ভিস রোড অবরোধ করেন। খবর পেয়ে রানিগঞ্জ থানার পুলিশ আসে। বিক্ষোভ অবরোধের কারণে ঐ এলাকায় গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পুলিশ সিটু ও সিপিএমের নেতৃত্বকে অবরোধ তুলে নিতে অনুরোধ করেন। কিন্তু পুলিশের সেই কথায় কোন গুরুত্ব না দিয়ে অবরোধ চলতে থাকে।
বেঙ্গল পেপার মিল বন্ধ থাকা নিয়ে বংশগোপাল চৌধুরী একযোগে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, এই মিলের মালিকের সঙ্গে রাজ্যের শাসক দলের যোগসাজশ রয়েছে। তা এই পেপার মিল বন্ধ রয়েছে। একদিকে কেন্দ্র সরকার এই এলাকায় কয়লাখনি বন্ধ করার চক্রান্ত করে শ্রমজীবী মানুষকে ভাতে মারার চেষ্টা করছে। অন্যদিকে, রাজ্য সরকার এই রকমভাবে মিল সহ কলকারখানা বন্ধ করছে। তিনি আরো বলেন, পেপার মিল খোলা নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক করা হলেও, সমাধান সূত্র বেরোয়নি। এদিন ট্রেলার দেখালাম। আগামী ১৯ মার্চ আরো একটা বৈঠক হবে। সেই বৈঠকে কোন সূত্র না বেরোলে বৃহত্তর আন্দোলন করা হবে। প্রায় ঘন্টা খানেক ধরে এই রাস্তা অবরোধ বিক্ষোভ হয়।