ব্রিজ মেরামতির দাবিতে হাড়াভাঙ্গা গ্রাম রক্ষা কমিটি সোচ্চার হল
বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জি, রানিগঞ্জ : পাঁচটি গ্রাম সহ ১৮ টি আদিবাসী পাড়ার, প্রায় ৫০ হাজারের মতো মানুষজনের যাতায়াতের একমাত্র পথ, হাড়াভাঙ্গা, নুনিয়া ব্রিজ, যা ইংরেজ আমলে গড়ে উঠেছিল সেই জরাজীর্ণ ব্রিজের বেহাল দশা ঘোচাতে হয়েছে বহু আন্দোলন। এবার এই ব্রিজের পাশেই অবস্থান বিক্ষোভ করে, বিক্ষোভ মিছিল এর মাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়ে হাড়াভাঙ্গা গ্রাম রক্ষা কমিটি সোচ্চার হল ব্রিজ মেরামতির দাবিতে। এই বিক্ষোভ আন্দোলনকে নৈতিকভাবে সমর্থন জানিয়েছেন তিরাট গ্রাম উন্নয়ন কমিটি, সহ সংলগ্ন অংশের সব কটি গ্রামের মানুষ। মঙ্গলবার এই অবস্থান-বিক্ষোভ ও আন্দোলনকে ঘিরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ল তিরাট যাতায়াতের জীর্ণ প্রায় সেতুর ওই রাস্তা।
বিক্ষোভকারীদের দাবি খনি কর্তৃপক্ষ এখানে ভারী পণ্য সামগ্রী পরিবহনের জন্য এই হাড়াভাঙ্গা ব্রিজ কে ব্যবহার করলেও, সেই ব্রিজকে সংস্কার ও মেরামতের কোন উদ্যোগ নেয়নি। আর এর সাথেই বিক্ষোভকারীদের দাবি, বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বারংবার এই ব্রিজের বেহাল অবস্থা দূর করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বাস দেওয়া হলেও কাজের কাজ কখনোই হয়নি। যা নিয়ে বছরের পর বছর ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে এলাকাবাসীকে। বহু দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে এই বেহাল সেতুতে, যদিও এ বিষয়ে গত দু’মাস আগেই বেহাল সেতু নির্মাণের দাবিতে হাড়াভাঙ্গা গ্রাম রক্ষা কমিটি, ইসিএল এর নিমচা এজেন্ট কার্যালয়ে ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখায়, পরে সেখানে সে সময় তাদের নিমচা কোলিয়ারির এজেন্ট এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্যোগ নেওয়ার আশ্বাস দেন।
যদিও তারপর কোনরূপ কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না হওয়ায় ১৮ই মার্চ, সোমবার ফের বিক্ষোভকারীরা নুনিয়া ব্রিজে সলিল সমাধি নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন, পাশপাশি তারা জিটি রোড অবরোধ করে বিক্ষোভ আন্দোলন করবেন বলেই হুঁশিয়ারি দিলে, ইসিএল কর্তৃপক্ষ পুনরায় বৈঠক করে দীর্ঘ আলোচনার পরও কোন সমাধান সূত্র মিলছে না বলেই দাবি করে, তারা জানান ইসিএল ব্লক ও জেলা স্তরে, এই রাস্তা ও ব্রিজ নির্মাণের জন্য আবেদন জানিয়েও কোন এন.ও.সি না পাওয়ার কারণে, এই কাজকে তারা শুরু করতে পারেননি।
যা শুনে মঙ্গলবার ফের আরো একবার হাড়াভাঙ্গা গ্রাম রক্ষা কমিটি সামিল হলেন, অনশন কর্মসূচিতে। তাদের দাবি অবিলম্বে বেহাল সেতু মেরামত না করা হলে, তারা বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন। প্রয়োজনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করতেও পিছপা হবেন না তারা, বলেই দাবি গ্রাম রক্ষা কমিটির। তবে এত সকল কর্মকান্ড হলেও, ইসিএল -এ বিষয়ে কোন মন্তব্য করেনি। যদিও এ বিষয়ে তিরাট গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান শিবদাস চ্যাটার্জি জানিয়েছেন, তার কাছে এই ব্রিজ তৈরির অনুমোদন নেওয়ার জন্য, কোন আবেদনই আসেনি। তার দাবি, খনি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে কোন আবেদন পেলেই, দ্রুত তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। যদিও এই সকল বিষয় নিয়ে ক্যামেরার সামনে কোন মন্তব্য করতে চাননি ইসিএল আধিকারিক। এখন দেখার আগামিতে কি পদক্ষেপ নেয় হাড়াভাঙ্গা গ্রাম রক্ষা কমিটি।