ASANSOL

আসানসোল পুরনিগমে অভিযোগ ,এবার শহরে মাফিয়াদের নজর, পুরনো নথি দেখিয়ে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ও চিকিৎসকদের জমি দখলের চেষ্টা

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ* পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় জমি মাফিয়াদের দৌরাত্ব বেড়েই চলেছে। এবার একেবারে আসানসোল শহরেই অনেক পুরনো বা বাতিল হয়ে যাওয়া নথি দেখিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করা হলো।
আসানসোলের হিরাপুর থানার ইসমাইল মৌজার গুরুনানকপল্লী এলাকায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ও চিকিৎসকদের জমি দখলে তৎপর হয়ে উঠেছে জমি মাফিয়ারা। বর্তমানে এই জমির আসল মালিকেরা কাগজপত্র দেখিয়ে এমনটাই দাবি ও অভিযোগ করেছেন। তাদের দাবি, এর সঙ্গে শাসক দলের কয়েকজন নেতাও রয়েছেন। জমি মাফিয়ারা ঐ জমির মাটি কেটে পাঁচিল দেওয়ার চেষ্টা করছিলো।  হিরাপুর থানায় গোটা বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ করা হলে পুলিশ এলাকায় আসে ও পাঁচিল দেওয়ার কাজ বন্ধ করে দেয়। যদিও এর পরে পুলিশ কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেনা বলে জমি মালিকদের অভিযোগ।
তবে, এরপরে জমি মালিকেরা পদক্ষেপ চেয়ে আসানসোল পুরনিগমের দ্বারস্থ হয়েছেন। তারা মেয়র বিধান উপাধ্যায়ের কাছে লিখিত ভাবে গোটা বিষয়টি জানিয়েছেন।


এই প্রসঙ্গে আসানসোলের একটি প্রাইমারি স্কুলের
অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা অনুরাধা সেনগুপ্ত বলেন, ২০০১ সালে আমার কাকা প্রয়াত ডাঃ বিভূতি ভূষণ বিশ্বাস আমাকে ও দুই বোন ডাঃ আলপনা ঘোষ এবং ডাঃ চিত্রলেখা চাওয়ালিয়াকে পাঁচ কাঠা জমি দিয়েছিলেন। আমরা ভূমি রাজস্ব বিভাগেও নাম নথিভুক্ত করিয়েছি। শুধু একজন বোনের নাম এখনো লিপিবদ্ধ করা হয়নি। এখন হঠাৎ করে দিন কয়েক আগে দুর্গাপুর থেকে কিছু লোক এসে দাবি করছে এই জমি তাদের। অথচ তাদের কাছে জমির সনদ বা সেই জাতীয় কোনো দলিল নেই। এই জমির দাবিদারদের পূর্বপুরুষরা ১৯৫৭ সালে অন্য কারো কাছে এই জমি বিক্রি করেছিলেন। ১৯৭৪ সালে আমার কাকা ডাঃ বিশ্বাস এই জমি কিনেছিলেন। পরে তিনি ২০০১ সালে এই জমি তিন বোনকে দিয়েছিলেন। এখন এসব লোকজনেরা পুরনো ও বাতিল হয়ে যাওয়া নথি দিয়ে জোর করে এই জমি দখল করতে চায়। তিনি আরো বলেন, আমরা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় ও ওয়ার্ড কাউন্সিলর তথা বোরো চেয়ারম্যান ডাঃ দেবাশীষ সরকারকেও বিষয়টি জানিয়েছি।
এই প্রসঙ্গে বোরো চেয়ারম্যান বলেন, একটা অভিযোগ পেয়েছি। খতিয়ে দেখছি সব জমি সংক্রান্ত তথ্য। সবকিছু দেখে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে, জানা গেছে, মেয়র গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য পুরনিগমের লিগ্যাল সেলের কাছে পাঠিয়েছেন। সেলের আইনজীবীরা সবকিছু দেখছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *