আসানসোল কেন্দ্রের প্রার্থী এখনো ঘোষণা হয়নি, মন্দিরে পুজোর পরে এবার কুলটিতে প্রাতঃভ্রমণে জিতেন্দ্র তেওয়ারি
বেঙ্গল মিরর, কুলটি, কাজল মিত্র ও রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে আগামী ১৩ মে চতুর্থ দফায় ভোট। কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপি এই আসানসোলের জন্য এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি। যদিও গত মার্চ মাসের একবারে শুরুতে প্রথম পর্যায়ে এই আসানসোলের জন্য ভোজপুরি গায়ক নায়ক পবন সিংয়ের নাম বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব ঘোষণা করেছিলেন। কিন্তু বিতর্ক দানা বাঁধতেই তিনি নিজে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়ান। তারপর আসানসোলের জন্য বিজেপি এখনো কোনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি।
তবে এরই মধ্যে টানা কয়েক দিন ধরে আসানসোল শহর সহ শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন মন্দিরে যেমন পুজো অর্চনা করছেন, তেমনই জনসংযোগের জন্য নতুন নতুন কর্মসূচি নিচ্ছেন আসানসোল পুরনিগমের প্রাক্তন মেয়র বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তেওয়ারি।এনআইএ বিতর্কের আবহে সোমবার সাত সকালেই জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে তার অনুগামীদের সঙ্গে নিয়ে আসানসোলের কুলটি ক্লাব এলাকায় মনিংওয়ার্ক বা প্রাতঃভ্রমণ করতে দেখা যায় । সেখান থেকে পায়ে হেঁটে তিনি পৌঁছে যান কুলটি গল্ফ গ্রাউণ্ড মাঠে। এরপর সেখানে ফুটবল খেলোয়াড়দের সাথে ফুটবল খেলায় অংশগ্রহণ করেন। পরে গল্ফ গ্রাউণ্ড থেকে হেঁটে তিনি চলে আসেন কুলটির রানিতলায়। সেখানে তিনি সবার সঙ্গে চা খান।
একই সাথে তিনি স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে সৌজন্য মূলক সাক্ষাৎ ও আলাপচারিতা করেন। এই বিষয়ে জিতেন্দ্র তেওয়ারিকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা যখনই জনগণের মধ্যে আসেন, তখনই তা জনসংযোগের আকার ধারণ করে। গোটা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের পাশাপাশি কুলটির মানুষেরা আমার পরিবারের অংশ। তাদের সাথে সাক্ষাৎ করা বা তাদের খোঁজখবর নিতে আসাটা কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা জনসংযোগের মধ্যে পড়েনা।
পাশাপাশি এদিন এনআইএর এসপির সঙ্গে তার দেখা করা নিয়ে যে রাজ্য রাজনীতিতে ভোট প্রচারের মধ্যে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, তা প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা, দলের মুখ্য সচেতক, রাজ্য সভাপতি সবাই এই বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন। তাই আমার নিজের আর কিছু বলার নেই এই বিষয়ে। এদিন জিতেন্দ্র তেওয়ারির সঙ্গে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের বিজেপি কাউন্সিলার গৌরব গুপ্ত ও প্রাক্তন কাউন্সিলার বাপ্পা ওরফে অভিজিৎ আচার্য।