ASANSOL

জামাইবাবু বিজেপির প্রার্থী, ধর্মসংকটে তাপস ?

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য্য , আসানসোল।( Asansol News Today ) রাজনীতির কারণে আমাদের পারিবারিক সম্পর্কে কোন বাধা বা অন্তরায় তৈরি হবে না। একই সুরে এই মন্তব্য করলেন রানীগঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক  এবং তৃণমূল নেতা তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় ( Tapas Banerjee ) ও বিজেপির আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের  প্রার্থী সুরিন্দর সিং আলুওয়ালিয়া ( SS Ahluwalia ) শ্যালক ও জামাইবাবু। ২০১৯ সালে দুর্গাপুর বর্ধমান কেন্দ্রে সুরিন্দার যখন বিজেপির প্রার্থী হন তখন দুর্গাপুর পুরসভার নেতৃত্বে ছিলেন তৃণমূলের অমিতাভ (জহর) বন্দ্যোপাধ্যায় যিনি সুরিন্দারের সম্পর্কিত শ্যালক। তখন প্রশ্ন উঠেছিল রাজনৈতিকভাবে দুই মেরুর দুজন কিভাবে পারিবারিক সম্পর্ক টিকিয়ে রেখে রাজনীতি করবেন। এবারেও সেই একই প্রশ্ন। কেননা আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের সুরিন্দর প্রার্থী যখন তখন তাপস বন্দ্যোপাধ্যায় রানীগঞ্জের বিধায়ক এবং এডিডিএর চেয়ারম্যান।

জামাইবাবু বিজেপির প্রার্থী হওয়ায় তাপস বাবু সমস্যায় পড়বেন? এই প্রশ্নের উত্তরে তাপস জানান ২০১৯ এ যখন উনি প্রার্থী হয়েছিলেন দুর্গাপুর বর্ধমান থেকে তখনো আমি এডিডিএর চেয়ারম্যান এবং বিধায়ক ছিলাম। আমরা দুজনেই দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতি করি। কখনো উনি আমাকে ওনার মত চাপিয়ে দেন না ।এমনকি বিজেপিতে যাবার পর কখনো বলেননি যে এই দলে যোগ দাও বা এস। আমার নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আমি প্রথমে কংগ্রেস পরে তৃণমূলে এসে বারবার বিধায়ক হয়েছি মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে। নেত্রী আমার মাথায় হাত রেখেছেন। স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির ময়দানে আমাদের দলের বক্তব্য নিয়ে আমরা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করব এবং লড়াইটা দলীয় আদর্শকে সামনে রেখে মানুষের স্বার্থে সততা ও নিষ্ঠার সাথে হবে। একইভাবে সুরিন্দার বলেন আমি পরিবার এবং রাজনীতি কে কখনো একসাথে মেলায় নি। ওরা ওদের দলের কথা বলবে আমি আমার দলের কথা বলব মানুষের কাছে। মানুষ আপন টাকা পর যত পারিস মানুষ ধর এই বিশ্বাস আমি আজও ব্যক্তি জীবনে করি।


সুরিন্দরকে বিরোধী প্রার্থী শত্রুঘ্ন সিনহা নিয়ে মন্তব্য করতে বলা হলে তিনি বলেন একদিকে সব মানুষের উন্নয়নের ধারাকে সামনে রেখে নরেন্দ্র মোদি তথা বিজেপি আদর্শের লড়াইয়ের জন্য আমরা বলছি। আর ওরা তুষ্টীকরণের রাজনীতি করছেন। ব্যাপক দুর্নীতিতে ওদের দলের নেতা মন্ত্রী একের পর এক জেলে । শত্রুঘ্ন সিনহার বিভিন্ন সভায় গিয়ে খামোশ শব্দটি শ্রোতাদের দাবি মেনে বলেন এ নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া। উত্তরে তিনি বলেন খামোশ মানে কি চুপ করে থাকা । স্কুলের শিক্ষক বাচ্চাদের ক্লাসে বলেন সাইলেন্স প্লিজ। আমি উল্টোটাই করব । মানুষকে খামোশ বা চুপ করতে বলবো না। তাদের কথা শুনবো এবং তাদের চোখ মুখের অনুভূতি দিয়ে বোঝার ।চেষ্টা করব তাদের সমস্যার সমাধানে। এই শিল্পাঞ্চলে একের পর এক কয়লা খনি বেসরকারি করন হচ্ছে। বিজেপির আমলে বাণস্ট্যান্ডার্ড হিন্দুস্তানকেবলস বন্ধ হয়েছে। এই নিয়ে তার কোন ভাবনা আছে কিনা। উত্তরে তিনি বলেন আমি চিরকাল উপর উপর শুনে  কথা বলি না ।বিষয়ের ভেতরে ঢোকা উচিত ।কাল আমি যাব এবং প্রকৃত অবস্থা জানার পরে তানিয়ে মন্তব্য করব। পাশাপাশি তিনি বলেন স্বাধীনতার পর এই প্রথম আসানসোলের ৪৪১ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে আসানসোল স্টেশন বিশ্বমানের হচ্ছে। এজন্য আমি একজন আসানসোল বাসি হিসেবে ও গর্বিত এখানেই জন্মে বড় হয়েছি। পড়াশোনা করেছি ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *