RANIGANJ-JAMURIA

পানীয় জলের দাবিতে পথ অবরোধ

বেঙ্গল মিরর, চরণ মুখার্জী, জামুড়িয়া :  চারিদিকে যখন  লু বয়ে বেড়াচ্ছে, সকলেই যখন ছাতার তলায় কেউবা শীততাপ নিয়ন্ত্রিত বাড়িতে বসে  আমেজ করছেন ঠিক তখনই অল্প একটু ব্যবহার্য জল ও পানীয় জল পাওয়ার দাবিতে এই প্রবল গ্রীষ্মের দাবদাহ কে উপেক্ষা করে এক ঘন্টা ধরে করল পথ অবরোধ। সোমবার দুপুরে এমনই বিষয় লক্ষ্য করা গেল আসানসোল মিউনিসিপাল কর্পোরেশনের অন্তর্ভুক্ত, জামুড়িয়ার  এক নম্বর বরো দপ্তরের 12 নম্বর ওয়ার্ডের নিঘা নিউ কলোনি মুসলিম বস্তি এলাকায়। বিক্ষোভ কারীরা এদিন জলের দাবিতে শিবডাঙ্গা থেকে নিঘা যাওয়ার রাস্তা অবরোধ করে, বিক্ষোভ দেখাতে থাকে।

স্থানীয় এলাকার মানুষজনদের বিশেষ করে মহিলাদের দাবি, তারা এ বিষয়ে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরজিৎ গোস্বামীকে বহুবার অভিযোগ জানিয়েছেন, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এমনিতেই খনি অঞ্চল এলাকা বলে কয়লা অঞ্চলের বিস্তীর্ণ অংশে জলের স্তর সর্বদাই নিম্নমুখী, আর তার মধ্যে জল সরবরাহ সঠিক না থাকায় বহু এলাকার মানুষজন জল কষ্টে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়েছেন এই প্রখর গ্রীষ্মে চরম দুর্ভোগ তাদের। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বহুবার তারা চিঠি চাপাটি করেও কোন সদ উত্তর পাননি, বর্তমান সময়ে এমন অবস্থা হয়েছে যে এলাকার কুয়োর জল শুকিয়ে গিয়েছে পুকুর ও অন্য সকল জলাশয় এর জল নোংরা হয়ে রয়েছে, শুকিয়ে যাচ্ছে জলের স্তর। এরই ফলে চরম দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ জানেদের, তাদের দাবি যতক্ষণ না এই সমস্যা সরজমিনে খতিয়ে দেখতে, ওয়ার্ড কাউন্সিলর না এসে পৌঁছন ততক্ষণ পর্যন্ত চলবে তাদের বিক্ষোভ। আর শুধু এসে পৌছালেই হবে না, তাদের লিখিতভাবে দিতে হবে দুবেলায় ট্যাঙ্কারে করে জল সরবরাহ করতে হবে এলাকায়, তবেই উঠবে বিক্ষোভ।

সোমবার এমনই দাবি তুলে তারা রাস্তা অবরোধ করে চরম ক্ষোভ দেখায়। পরে বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় দশ নম্বর ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের এর প্রতিনিধি ভোলা পাসওয়ান বিক্ষোভকারীদের কাছে পৌঁছে জল সরবরাহের জন্য ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে আশ্বস্ত করা হলে স্বাভাবিক হয় পরিস্থিতি। যদিও এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেন বিক্ষোভকারীদের কাছে এলেন না, তা নিয়েই প্রশ্ন তুলেছেন সেখানের বাসিন্দা, কংগ্রেসের নেতৃত্ব সোমনাথ চট্টোপাধ্যায়, তিনি এদিন দাবি করেন, অন্যান্য ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর প্রতিনিধি এসে পৌঁছে, সমস্যার সমাধান করার আশ্বাস দিলেও স্থানীয় কাউন্সিলরের দেখা মেলে না, তাই এলাকার বাসিন্দারা বুঝতেই পারছে নির্বাচনের সময় বড় বড় প্রতিশ্রুতি দিয়ে পাত্তা দেয় না তারা। যদিও এদিন ওই ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *