BARABANI-SALANPUR-CHITTARANJAN

চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা  : বর্তমান পরিকাঠামোয় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে নিয়ে সরব শ্রমিক সংগঠন, বিক্ষোভ, স্মারকলিপি

বেঙ্গল মিরর, চিত্তরঞ্জন, দেব ভট্টাচার্য ও  রাজা বন্দ্যোপাধ্যায়ঃ চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানা বা সিএলডব্লুতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা বৃদ্ধি করে ৭০০ ইঞ্জিন করা হয়েছে। কিন্তু সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণে কারখানা কর্তৃপক্ষ কোনো রকম সহযোগিতা করতে নারাজ বলে, অভিযোগ। কারখানা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, চলতি পরিকাঠামোতেই এই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে হবে। এটা যে সম্ভব নয় সে বিষয়ে কর্তৃপক্ষও ওয়াকিবহাল। এই অবস্থায় ব্যাপক অফলোডিং চলছে। ফলে বর্তমান পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আউটসোর্সিংয়ের দিকে কারখানাকে নিয়ে যাচ্ছে। তার ফলে রেল কর্মীদের প্রতিযোগিতায় নামতে হবে ঠিকা শ্রমিকদের সঙ্গে।

এই আতঙ্ক থেকেই চিত্তরঞ্জন রেল ইঞ্জিন কারখানার ১০ টি শ্রমিক সংগঠন যৌথভাবে শুক্রবার সিএলডব্লুর প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ দেখায়। শ্রমিক সংগঠনের দাবি, পরিকাঠামোর উন্নয়ন এবং শূন্যপদ পূরণ করলেই বর্ধিত লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা এখানেই সম্ভব। অথচ কারখানার বাইরে থেকে কর্মীদের ভেতরে আনা ছাড়া অন্য কোন পদক্ষেপ কর্তৃপক্ষ নিচ্ছেন না। এরই সঙ্গে চলতি বছরের জয়েন্ট প্রসিডিউর অর্ডার জেপিওতে পরিষ্কার উল্লেখ করা হয়েছে “যে কোন উপায়ে” উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করা হবে। এখানেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে শ্রমিকদের মধ্যে, এমনই দাবি লেবার ইউনিয়ন সম্পাদক রাজীব গুপ্তের। আইএনটিইউসি/সিআরএমসি সাধারণ সম্পাদক ইন্দ্রজিৎ সিং এই প্রসঙ্গে বলেন, রেল কর্মীরা এতদিন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন অন্যান্য রেল কারখানার সঙ্গে। কিন্তু বর্তমানে প্রতিযোগিতা করতে হবে কারখানাই ঠিকা কর্মীদের সঙ্গে। রেল কর্মীদের পাশেই কারখানার ভেতরে কাজ করবেন ঠিকা শ্রমিকেরা। স্থায়ী কর্মীদের উপর চাপ সৃষ্টি করে অতিরিক্ত ইঞ্জিন উৎপাদন করানো হচ্ছে। কিন্তু তার সুফল শ্রমিকদের দেওয়া হচ্ছে না।


কেন্দ্রীয় শাসক দলের শ্রমিক সংগঠন কর্মচারী সংঘের সাধারণ সম্পাদক সুরেশ কুমার বলেন  শ্রমিক স্বার্থে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তারা পিছপা হবেন না। দিল্লিতে কেন্দ্রীয় শাসক দলের বিরুদ্ধে তারা আন্দোলন করেছেন।
এদিন অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন প্রদীপ বন্দোপাধ্যায় , অমিত মালঙ্গি, প্রসূন বন্দোপাধ্যায় , কে এম পান্ডে, অচিন্ত্য সূপকার, সৌগত ভট্টাচার্য, এসএন সিং , গোলাপ যাদব, সুভাষ ব্রহ্ম।
এই সভায় রাস্তার দুই ধারে শ্রমিকদের ভিড় উপচে পড়ে। গোটা এলাকা ছেয়ে যায় বিভিন্ন রঙের পতাকা ফেস্টুনে। সভা শেষে মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনে স্মারকলিপি দেওয়া হয়। তা গ্রহণ করেন কারখানার চিফ পার্সোন্যাল অফিসার অমিতাভ চৌধুরী।
শ্রী চৌধুরী পরবর্তী সময়ে দাবি নিয়ে কারখানার জিএম বা জেনারেল ম্যানেজারের সঙ্গে শ্রমিক সংগঠনগুলির বৈঠকের ব্যবস্থা করবেন বলে তাদেরকে আশ্বস্ত করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *