আসানসোলে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী সমর্থন সভায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়: আগামী ১৩ মে সোমবার আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের ভোট। তার আগে, আসানসোলে নির্বাচনের লড়াইয়ে থাজা প্রতিটি দলই জোরদার প্রচার চালাচ্ছে। মঙ্গলবার আসানসোল পুরনিগমের ৫৫ নম্বর ওয়ার্ডে কুমারপুরে মনোজ সিনেমা হলের কাছে এক পথসভার আয়োজন করা হয় সিপিএমের তরফে। সেই সভায় সিপিএমের রাজ্য কমিটির সদস্য, কলকাতা পুরসভার প্রাক্তন মেয়র পারিষদ বিশিষ্ট আইনজীবী মহঃ ফায়াদ খান প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও পার্থ মুখোপাধ্যায় , সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় , জয়দীপ চক্রবর্তী, এই এলাকার অনেক বামফন্ট্র ও কংগ্রেস কর্মীরা অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240520-wa01481045365085360283686.jpg?resize=500%2C428&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2023/10/IMG-20230207-WA0151-e1698295248979.webp?resize=768%2C512&ssl=1)
![](https://i0.wp.com/bengalmirrorthinkpositive.com/wp-content/uploads/2024/05/img-20240507-wa03726182334974908602439.jpg?resize=500%2C225&ssl=1)
সভায় বক্তারা ভারত জোটের প্রার্থী জাহানারা খানের সমর্থনে ভোট দেওয়ার জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান। সভায় ফায়াদ খান বলেন, আজকে কেন্দ্রে এবং রাজ্যে একটি সরকার চলছে যার জনগণের সমর্থন নেই। তিনি বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে অস্বীকার করেছেন। কারণ তিনি অনুভব করতে পারছেন, যে জনগণ নরেন্দ্র মোদির নীতি জনগনের স্বার্থে নয়। তিনি আরো বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টি এবং নরেন্দ্র মোদি দুর্নীতি নিয়ে বড় কথা বলেন। জিরো টলারেন্সের কথা বলেন, কিন্তু সত্যি কথা হচ্ছে, সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি যদি শুধু এই দেশেই না হয়ে থাকে, তবে তা ভারতেই হয়েছে। তা হলে নির্বাচনী বন্ড। এই কেলেঙ্কারি বিজেপি করেছে।
একই সঙ্গে তিনি বলেন, নির্বাচনী প্রচারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যেভাবে প্রচার চালাচ্ছেন তা নির্বাচনী আচরণবিধির সম্পূর্ণ লঙ্ঘন হচ্ছে। অথচ তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। এর সাথে তিনি বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারকে স্বৈরাচারী মনোভাব পোষণ করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন যে আজকে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার যেভাবে কাজ করছে তা ভবিষ্যতে দেশের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠবে দেশের সংবিধান বাঁচাতে হলে নরেন্দ্র মোদি ও দিল্লির আসন থেকে ভারতীয় জনতা পার্টিকে সরাতে হবে।