আসানসোলে জাহানারা খানের প্রচারে জনসংযোগে মহঃ সেলিম, সন্দেশখালি নিয়ে একযোগে তৃণমূল ও বিজেপিকে আক্রমণ
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত ও রাজা বন্দোপাধ্যায়:* যতদিন যাচ্ছে লোকসভা নির্বাচনের আবহে ” সন্দেশখালি ” ততই সব দলের প্রচারের একটা পয়েন্ট হিসাবে উঠে আসছে। শুক্রবার আসানসোলে দলের প্রার্থী জাহানারা খানের প্রচারে এসে সেই সন্দেশখালি ইস্যুতে একযোগে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেস ও কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকে আক্রমণ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। এদিন সকালে মহঃ আসানসোলের রেলপার এলাকায় বালবোধন স্কুলের সামনে থেকে ইন্ডিয়া জোটের হয়ে কংগ্রেস সমর্থিত সিপিএমের প্রার্থী জাহানারা খানের হয়ে ভোটের আবেদনে পদযাত্রার মাধ্যমে জনসংযোগ শুরু করেন। প্রায় গোটা সংখ্যালঘু অধ্যুষিত রেলপার এলাকা ঘুরে সেই পদযাত্রা আসানসোল রেল স্টেশনের ৭ নং প্ল্যাটফর্মে এসে শেষ হয়।
এরপর তিনি এদিন দুপুরে আসানসোলের আপকার গার্ডেনে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে সরব হন। সেই সাংবাদিক সম্মেলনে পার্থ মুখোপাধ্যায় ও আভাষ রায়চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
মহঃ সেলিম বলেন, আমাদের বিধায়ক নিরাপদ সর্দার বিধানসভায় এই সন্দেশখালি বিষয়ে উত্থাপন করেছিলেন। সেখানে মহিলাদের উপর যে অত্যাচার হচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি তার বক্তব্য তুলে ধরার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সোনালী গুহ যিনি এখন বিজেপিতে রয়েছেন, তিনি সেই সময় তৃনমুল কংগ্রেসের বিধায়ক হিসেবে বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার ছিলেন। তখন তিনি নিরাপদ সর্দারের মাইক বন্ধ করে দিয়েছিলেন। যে শুভেন্দু অধিকারী আজ বড় বড় কথা বলছেন, তিনি তখন প্রতিবাদ করেননি। মহঃ সেলিম বলেন, আজ জনগণের মৌলিক সমস্যা নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। শুধু এমন সব বিষয় তুলে ধরা হচ্ছে যার সঙ্গে মানুষের দৈনন্দিন জীবনের কোনো সম্পর্ক নেই। মূল্য বৃদ্ধি নিয়ে কোনো আলোচনা নেই। বেকারত্ব নিয়ে কোনো আলোচনা নেই, মানুষের কর্মসংস্থান নেই। প্রতি বছর ২ কোটি চাকরির নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছিল। তার দাবি, আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রে কলকারখানার দূষণের কারণে মানুষের জীবনযাপন করা কঠিন হয়ে পড়েছে। মিডিয়াতেও একই বিষয় নিয়ে আলোচনা হচ্ছে না। মিডিয়াতে এমন সব কিছু আলোচনা করা হচ্ছে, যা বিজেপি ও তৃণমূল কংগ্রেস চাইছে।