ASANSOL

আসানসোলে এবার রাস্তায় নেমে মিছিল অধ্যাপক ও কর্মীদের

কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়, দেব ভট্টাচার্য ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* সাতদিন পরেও আসানসোলের কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে অচলাবস্থা অব্যাহত রয়েছে। প্রথমে রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসের অনুমোদিত ওয়েবকুপার বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের ব্যানারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তীর পদত্যাগ ও রেজিস্ট্রার ডঃ চন্দন কোনারকে কাজে ফেরানোর ডাক দেওয়া হয়েছিলো। এবার আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় ঐক্যমঞ্চ তৈরী করে ঐ দুই দাবি আরো জোরদার করা হলো।


সোমবার সকালে ঐক্য মঞ্চ ও ওয়েবকুপার ডাকে দুই দাবি আদায়ে রাস্তায় নামলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, অধ্যাপিকা ও শিক্ষা কর্মীরা। এদিন আসানসোল শহরে একটি মিছিল করা হয়। সেই মিছিলে অধ্যাপকদের হাতে উপাচার্যের পদত্যাগ চেয়ে ব্যানার ছিলো। মিছিলটি জিটি রোডের চেলিডাঙ্গা থেকে শুরু হয়ে বিএনআর ব্রিজ হয়ে রবীন্দ্র ভবনের সামনে আসে। পরে বিক্ষোভ সভাও করা হয়েছিলো।


ওয়েবকুপার বিশ্ববিদ্যালয় ইউনিটের কনভেনার অধ্যাপক সজল কুমার ভট্টাচার্য বলেন, এই উপাচার্য একজন স্বৈরাচারী। তিনি দূর্নীতিগ্রস্থ। প্রতিদিন কিছু না কিছু তার কীর্তি প্রকাশ পাচ্ছে। আমাদের জানা আছে বিশ্ববিদ্যালয়ের কো একাউন্ট থাকলে তাতে তিনজন সাইনিং অথরিটি হন। তারা হলেন উপাচার্য, রেজিস্ট্রার ও ফিনান্স অফিসার। কিন্তু আমরা জানতে পেরেছি আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের আরো দুটি একাউন্ট আছে। তারমধ্যে একটিতে সাইনিং অথরিটি হলেন উপাচার্য নিজে। অন্যটিতে ডেভেলপমেন্ট অফিসার মহেশ্বর মালো দাস। ঐ দুটি একাউন্টে ডেভিড কার্ডের সুবিধা আছে। এও বলা হয়েছে এই দুটি একাউন্টের স্টেটমেন্ট কোনভাবেই যাতে ফিনান্স অফিসারের কাছে না যায়। সজলবাবু আরো বলেন, এর থেকেই যেকেউ বুঝতে পারছেন কি চলছে বিশ্ববিদ্যালয়ে। আমরা আন্দোলনের পাশা পাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের স্বার্থ ও শিক্ষার পরিবেশ ঠিক থাকে, তা দেখছি।


অন্যদিকে, পাল্টা আন্দোলনকারীদেরকে তোপ দাগেন উপাচার্য ডঃ সাধন চক্রবর্তী। তিনি বলেন,
ডেপুটি রেজিস্ট্রার ও ডেভেলপমেন্ট অফিসারকে কর্মরত অবস্থায় সজলবাবুর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু কর্মী ও কিছু বহিরাগতদের দ্বারা শারীরিক এবং মানসিক অত্যাচার করা হয়েছে। এর ফলে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।
তিনি আরো বলেন, উপাচার্যের অফিস গত ১৪ মার্চ থেকে আজ পর্যন্ত সজলবাবুর নেতৃত্বে বন্ধ থাকার জন্য উপাচার্য ও উপাচার্যের অফিসের কর্মীরা অফিসে ঢুকতে পারছেন না। বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিস খোলা ও বন্ধ করা এস্টেট অফিসের কাজ। এই অফিসের দায়িত্ব একজন অফিসারের হাতে ছিল। সজলবাবু তাকে এই দায়িত্ব থেকে জোর করে অব্যাহতি দিয়েছেন। তারপর এই দায়িত্ব আমি সজলবাবুর হাতেই তুলে দিয়েছি। কিন্ত তিনি তার দায়িত্ব পালন করছেন না।


বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন হতে কোন অসুবিধা নেই। কারন ফিন্যান্স অফিসার বিবৃতি দিয়েছেন যে শিক্ষকদের মাইনে দেওয়ার ব্যাপারে তাদের উপস্থিতি ও ছুটির রেকর্ড দেখার দরকার পড়ে না। কাজেই এই মর্মে ফিন্যান্স অফিসার নোট দিয়ে শিক্ষকদের মাসিক বেতনের তালিকা আমার কাছে পাঠালেই আমি সই করে দেবো। তাতে কোনও অসুবিধা হবে না। তবে উপাচার্য আলাদাভাবে আরো দুটি একাউন্টের কথা এদিন অস্বীকার করেন। তিনি দাবি করে বলেন, সব মিথ্যে ও ভুল।

Leave a Reply