PANDESWAR-ANDAL

ইসিএলের পরিত্যক্ত খোলামুখ কয়লাখনি থেকে ৩১ ঘন্টা পরে উদ্ধার মহিলার মৃতদেহ

বেঙ্গল মিরর, অন্ডাল, চরণ মুখার্জী ও  রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* শেষ পর্যন্ত দীর্ঘ ৩১ ঘণ্টা পরে ইসিএলের পরিত্যক্ত খোলা মুখ খনির জল থেকে উদ্ধার হল মহিলার দেহ। যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল তা সত্যি হলো। শনিবার সকাল ১০ টা নাগাদ ইসিএলের কেন্দা এরিয়ার বহুলা সিএল জামবাদ কোলিয়ারির পরিত্যক্ত খনির জলে ডুবে নিখোঁজ হয়ে যান বছর ২৫ এর উমা বাদ্যকর নামে ঐ মহিলা বলে স্থানীয় সূত্রে জানা যায়। দীর্ঘ তল্লাশির পরে রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ৩১ ঘণ্টা পর উদ্ধার হল তলিয়ে যাওয়া মহিলার দেহ।


পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উমা বাদ্যকর নামে ঐ মহিলা অন্ডাল থানার বহুলা গ্রামের বাদ্যকর পাড়ার বাসিন্দা ছিলেন। স্থানীয় এক যুবক তাকে পরিত্যক্ত খোলামুখ কয়লাখনির জলে ডুবে যেতে দেখেছিলেন। পরে গোটা এলাকায় সেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তারপর পরিত্যক্ত খোলামুখ কয়লাখনির সামনে ভিড় জমান নিখোঁজ মহিলার পরিবার পরিজন ও স্থানীয় বাসিন্দারা । পরে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে অন্ডাল থানার পুলিশ। আর তারপরেই মহিলাকে উদ্ধারের জন্য ডেকে আনা হয় ডুবুরির দল। মহিলার খোঁজে খোলামুখ কয়লাখনির জলে  স্পিড বোট নিয়ে তল্লাশি শুরু করে ডুবুরির দল।


মহিলার স্বামী বাপ্পা বাদ্যকরের দাবি, আমি শনিবা সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঘর থেকে বেরিয়ে কাজে যাই । এরপর এলাকার এক বাসিন্দা ফোন করে স্ত্রীর জলে ডুবে যাওয়ার খবর জানায়। ঐ বাসিন্দা কয়লাখনির পাড়ে স্ত্রীর চটি পড়ে রয়েছে দেখেন। তার দাবি এক যুবক তাকে ঐ জলে ডুবে যেতে দেখেছে বলে জানায় ।
আর তারপরেই রবিবার দীর্ঘ ৩১ ঘণ্টা টানা তল্লাশির পরে শেষ পর্যন্ত রবিবার বিকেল পাঁচটা নাগাদ ডুবুরির দল পরিত্যক্ত কয়লা খনির জলে ডুবে নিখোঁজ হওয়া মহিলার দেহ উদ্ধার করে। পুলিশ সেই দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যায় আসানসোল জেলা হাসপাতালে। অন্ডাল থানার পুলিশ তথ্য সংগ্রহ করে তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানায়, ঐ মহিলা নিজেই জলে ঝাঁপিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন, না , এই মৃত্যুর পেছনে অন্য কোন কারণ রয়েছে, সে সব কিছু তদন্তের পরই স্পষ্ট হবে। এই ঘটনায় পুলিশের তরফে আপাততঃ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *