ASANSOL

রানিগঞ্জের ডাকাতির ঘটনার কানেকশন আসানসোলে প্রকাশ্য গুলি চালিয়ে চারচাকা গাড়ি নিয়ে চম্পট

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্ত : রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার একঘন্টার মধ্যে রবিবার দুপুরে আসানসোল শহরে চললো গুলি। একইসাথে ঘটলো চারচাকা গাড়ি ছিনতাইয়ের ঘটনা। জানা গেছে, এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ আসানসোল দক্ষিণ থানার মহিশীলা কলোনির চক্রবর্তী মোড়ে চারজন চারচাকা গাড়ির মালিক তথা চালককে গুলি করে গাড়ি নিয়ে চম্পট দিয়েছে।

দূর্গাপুরের বামনআড়ার বাসিন্দা নয়ন দত্ত ( ৩০) ঐ যুবককের বামপায়ের থাইয়ে একটি গুলি লাগে। ঐ যুবক বর্তমানে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। এই ছিনতাইয়ের ঘটনা আটকাতে গেলে এলাকার এক বাসিন্দাকেও লক্ষ্য করে ঐ যুবকেরা গুলি করে। অল্পের জন্যে তিনি রক্ষা পান। একটা গুলি তার ডান হাত ছুঁয়ে চলে গেছে। তারও আসানসোল জেলা হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা করা হয়েছে। এরপর ঐ চার যুবক ঐ চারচাকা গাড়ি নিয়ে মহিশীলা কলোনির রাস্তা হয়ে আসানসোল জেলা হাসপাতালের দিকে পালিয়ে যায় বলে এলাকার বাসিন্দা ঘটনার প্রত্যক্ষ্যদর্শীরা জানিয়ে।

খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ এলাকায় আসে। সেখানে ফেলে যাওয়া ঐ চার যুবকের একটি মোটরবাইক পুলিশ উদ্ধার করেছে। পুলিশ ঐ চার যুবক ও ছিনতাই করে পালানোর গাড়ির খোঁজে আসানসোল শহর থেকে বেরোনো সব রাস্তায় নাকা চেকিং ও তল্লাশি শুরু করেছে। প্রাথমিক তদন্তের পরে পুলিশের অনুমান, রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডাকাত দলের সদস্যরাই আসানসোলের এই ঘটনা ঘটিয়েছে।

রবিবার ছুটির দিনের দুপুরের রানিগঞ্জ শহরের পরে আসানসোল শহরের মহিশীলা কলোনির মতো জনবহুল এলাকায় গুলি চালিয়ে গাড়ি ছিনতাই করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। জানা গেছে, দূর্গাপুরের বামুনআড়ার বাসিন্দা নয়ন দত্ত একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্মী। তার শ্বশুরবাড়ি আসানসোলের জিটি রোডের মুর্গাশোল এলাকায়। এক আত্মীয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি এদিন দুপুর দেড়টা নাগাদ শ্বশুর বাড়ি থেকে চারচাকা গাড়ি নিয়ে মহিশীলা কলোনির বটতলা বাজারে ম্যারেজ হলে আসছিলেন। তার সঙ্গে স্ত্রী ও সন্তান ছিলো। মহিশীলা কলোনির চক্রবর্তী মোড়ে আগে থেকেই চার যুবক দাঁড়িয়েছিলো। নয়ন দত্তর গাড়ি সেখানে আসতেই তাকে তারা দাঁড় করায়।

তিনি গাড়ি দাঁড় করাতেই চালকের আসনের দরজা খুলে তাকে জোর করে টেনে নামানো চেষ্টা করে। তিনি বাধা দেওয়ায় এক যুবক তাকে লক্ষ্য করে এক রাউন্ড গুলি চালায়। সেই গুলি তার বাম পায়ে লাগে। তিনি সেখানে লুটিয়ে পড়েন। তা দেখে তখন গাড়িতে থাকা তার স্ত্রী ও সন্তান কোনমতে গাড়ি থেকে নেমে দৌড়ে পালান। গুলির শব্দ পেয়ে আশপাশের লোকেরা দৌড়ে আসেন। ততক্ষণে তিন যুবক গাড়িতে উঠে গেছে। এক যুবক বাধা দিতে আসা এক ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দারা ভয়ে দাঁড়িয়ে পড়েন। সেই সুযোগে চারজন ঐ চারচাকা গাড়ি নিয়ে চম্পট দেয়। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, চারজনের খোঁজ সঙ্গে সঙ্গে শুরু করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *