আসানসোল – দূর্গাপুরে শিল্প সম্ভাবনা, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বনিকসভার তরফে বন্ধ কারখানার জমি ব্যবহারে প্রস্তাব
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোল দূর্গাপুর শিল্পাঞ্চলে শিল্প সম্ভাবনা নিয়ে নতুন চিন্তা ভাবনা শুরু হয়েছে। তারই মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বড় বনিকসভা ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি ও আসানসোল ক্রেডাইয়ের তরফে একটি প্রস্তাব দেওয়া হলো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
সেই প্রস্তাব বলা হয়েছে, আসানসোল শিল্পাঞ্চল সহ আশপাশে রাজ্য সরকারের বেশ কয়েকটি বন্ধ হয়ে থাকা কারখানা রয়েছে। সেই কারখানা নতুন করে খোলার ব্যাপারে রাজ্য সরকার কিছু পদক্ষেপ করুক। নয়তো সেইসব কারখানার জমি ব্যবহার করার জন্য শিল্পপতি ও ব্যবসায়ীদের দেওয়া হোক। যাতে তারা সেখানে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ( এমএসএমএ) করতে পারেন। তাতে এই শিল্পাঞ্চলে নতুন শিল্প হবে ও কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়বে।
বৃহস্পতিবার কলকাতার নবান্নের সভাঘরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের শিল্পপতি ও একাধিক বনিকসভার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন। সেই বৈঠকে ফসবেকি বা ফেডারেশন অফ সাউথ বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির শচীন রায় (সাধারণ সম্পাদক) , রাজেন্দ্র প্রসাদ খৈতান (সভাপতি) , সুভাষ আগরওয়াল (চেয়ারম্যান) স্বপন চৌধুরী (কার্যকরী সভাপতি), রাজেশ দারুকা (কোষাধ্যক্ষ) ও ক্রেডাই আসানসোলের বিনোদ গুপ্ত (সাধারণ সম্পাদক) উপস্থিত ছিলেন।
শুক্রবার এই বৈঠক প্রসঙ্গে শচীন রায় বলেন, বৃহস্পতিবারের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে হওয়া বৈঠক খুব ভালো হয়েছে। আমরা মুখ্যমন্ত্রীকে এখানকার বন্ধ হয়ে থাকা বেশকিছু কলকারখানা জমি অন্য ভাবে ব্যবহার করার প্রস্তাব দিয়েছি। বলেছি সেখানে নতুন কারখানা করা হোক, বা জমি ছোট ছোট শিল্পপতিদের দেওয়া হোক। তাতে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প করা যেতে পারে। এতে এই শিল্পাঞ্চলে নতুন করে শিল্প সম্ভাবনা যেমন তৈরি হবে, তেমনই কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। শচীনবাবুর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী আমাদের এই প্রস্তাবে ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করেছেন। তিনি বৈঠকে স্বরাষ্ট্র সচিবকে বিষয়টি দেখার জন্য নির্দেশ দেন। এছাড়া পুরুলিয়ার রঘুনাথপুর থেকে ডানকুনি পর্যন্ত ভায়া দূর্গাপুর হয়ে আর্থিক করিডর করা হচ্ছে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিনের বৈঠকে জানিয়েছেন।
প্রসঙ্গতঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে হওয়া এই বৈঠকে মন্ত্রীদের মধ্যে ছিলেন ববি হাকিম,, ডাঃ শশী পাঁজা, অরূপ বিশ্বাস, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, সুজিত বসু। ছিলেন রাজ্যের মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব। এছাড়াও ছিলেন রাজ্যের আর্থিক উপদেষ্টা প্রাক্তন অর্থ মন্ত্রী অমিত মিত্র সহ অন্যান্যরা।