ASANSOL

আসানসোলে শুটআউটের ঘটনা, হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়া সনু সিংয়ের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ রানিগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতির এক ঘন্টা পরে আসানসোলের মহিশীলা কলোনিতে গুলি করে একটি গাড়ি ছিনতাই করে ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে ছিলো চার ডাকাত। তাদের মধ্যে ছিলো গুলিবিদ্ধ ডাকাত বিহারের বাসিন্দা সনু সিং ওরফে বিশ্বজিৎ কুমার শা। গ্রেফতার হওয়ার পরে সেই সনুর চিকিৎসা চলছিলো আসানসোল জেলা হাসপাতালের পুলিশ সেলে। মঙ্গলবার বিকেলে আসানসোল জেলা হাসপাতাল থেকে তাকে ছাড়া হয়। এরপর তাকে আসানসোলে হওয়া শুট আউটের ঘটনায় এদিনই ১৪ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়ার জন্য আবেদন করে আসানসোল আদালতে পেশ করে আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ। বিচারক তার জামিন নাকচ করে পুলিশের আবেদনের ভিত্তিতে ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেন।


প্রসঙ্গতঃ, একদিনে ১ ঘন্টার মধ্যে হওয়া দুটি ঘটনায় রানিগঞ্জ ও আসানসোল দক্ষিণ থানায় দুটি আলাদা মামলা হয়েছে। আসানসোল দক্ষিণ থানার  ঘটনায় আইও বা তদন্তকারী অফিসার হিসাবে রয়েছেন মেহেরাজ আনসারি।
উল্লেখ্য, গত ৯ জুন রানিগঞ্জের তার বাংলা এলাকায় সোনার দোকানে ৭ জনের ডাকাত দল হানা দেয়। দোকান থেকে ডাকাতি করে পালানোর সময় ডাকাত দলের লক্ষ্য করে বিদ্যুতের খুঁটিকে ঢাল করে গুলি চালাতে থাকেন শ্রীপুর ফাঁড়ির ইনচার্জ সাব ইন্সপেক্টর মেঘনাদ মন্ডল। তার মধ্যে একটি গুলি এক ডাকাতের কোমরে লাগে। গুলির লড়াই শেষ হতেই সঙ্গীরা গুলিবিদ্ধ ডাকাতকে মোটরবাইকে চাপিয়ে এলাকা থেকে চম্পট দেয়।

এক ঘন্টা পরে আসানসোলের মহিশীলা কলোনির চক্রবর্তী মোড়ে সেই ডাকাত দলের চারজন গুলি চালিয়ে একটি চারচাকা গাড়ি ছিনতাই করে। কিন্তু এতো কিছুর পরেও শেষ রক্ষা হয় না। ঝাড়খণ্ডের গিরিডি থানার পুলিশ ঘটনার দিন রাতেই সারিয়ার জঙ্গল থেকে চারচাকা গাড়ি আটকায় ও বিহারের গোপালগঞ্জের বাসিন্দা সুরজ সিংকে গ্রেফতার করে। এরপর গ্রেফতার করা হয় গুলিবিদ্ধ সনু সিংকে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদের পর অন্ডাল থানা এলাকার দক্ষিণ খন্ডের জয়পুরিয়া কোলিয়ারীর বাসিন্দা ফল বিক্রেতা শশীকান্ত মালিকে শনিবার এই ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করে পুলিশ।
রানিগঞ্জের ঘটনায় রবিবার নগেন্দ্র যাদব কে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ করা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।

Leave a Reply