PANDESWAR-ANDAL

ইস্তফা দিলেন খান্দরা পঞ্চায়েতের উপপ্রধান !

বেঙ্গল মিরর, সার্থক কুমার দে, অন্ডাল : ইস্তফা দিলেন তৃণমূল পরিচালিত খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর । দলের নির্দেশে সোমবার তিনি ইস্তফা পত্র দেন বিডিওর হাতে । উপপ্রধান কে নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে বিতর্কের কারণে অচল অবস্থা চলছিল পঞ্চায়েত দপ্তরে ।‌ তিনি ইস্তফা দেওয়াতে অচল অবস্থার অবসান ঘটবে বলে আশা দলের ।



তৃণমূল পরিচালিত খান্দরা গ্রাম পঞ্চায়েতে বেশ কিছুদিন ধরেই প্রধান ও উপপ্রধান কে নিয়ে তৈরি হয়েছিল বিতর্ক । দলেরই একাংশ পঞ্চায়েত সদস্য তাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি স্বেচ্ছাচার স্বজন পোষণের অভিযোগ নিয়ে হয়েছিল সরব ।‌ গত সপ্তাহে দুদিন দলের একাংশ পঞ্চায়েত সদস্য প্রধান উপপ্রধানের ইস্তফার দাবিতে পঞ্চায়েত দফতরে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভও দেখায় । রবিবার খান্দরা পঞ্চায়েত কার্যালয়ের দেওয়াল সহ গ্রামের বিভিন্ন পাড়াতে প্রধান উপপ্রধান চোর লেখা পোস্টারও‌ পরে । যা নিয়ে অস্বস্তি পরে শাসক দল ।

প্রধান উপপ্রধান কে ঘিরে শাসক দলের অন্দরে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব পৌঁছায় চরম পর্যায়ে । শেষ পর্যন্ত বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে হয় দলের ব্লক ও জেলা নেতৃত্বকে । দলের পক্ষ থেকে উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকরকে পদ থেকে ইস্তফা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয় । রবিবার পোস্টার কাণ্ডের পর উপপ্রধান গণেশ বাদ্যকর তার বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন পঞ্চায়েত সদস্যদের সমর্থনে আমি উপপ্রধান হয়েছি । কিন্তু দলেরই একটি গোষ্ঠী ব্যক্তি স্বার্থে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করছে আমাকে পদ থেকে সরানোর জন্য । রবিবার তিনি জানিয়েছিলেন দলের সম্মান রক্ষার্থে আগামী ১০ দিনের মধ্যে উপপ্রধান পদ থেকে ইস্তফা দেব ।



সোমবার সূত্র মারফত জানা যায় এদিন বেলা দুটো নাগাদ গণেশ বাবু উপপ্রধান পর থেকে ইস্তফা পত্র দেন অন্ডাল ব্লকের বিডিওর হাতে । যদিও বিডিও দেবজ্যোতি দত্ত উপপ্রধানের ইস্তফা প্রসঙ্গে অফিসিয়ালি কিছু বলেননি । বিষয়টি নিয়ে গনেশ বাদ্যকরের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন সুইচড অফ পাওয়া যায় । তবে শাসক দলের ব্লক সভাপতি কালোবরণ মন্ডল গনেশ বাবুর ইস্তফা দেওয়ার কথা স্বীকার করেন । গণেশ বাদ্যকরকে নিয়ে পঞ্চায়েতে অচলাবস্থা ও দলের অন্দরে যে অস্বস্তির পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ইস্তফা দেওয়ায় তার অবসান ঘটবে বলে জানান কালোবরণ বাবু ।

Leave a Reply