ASANSOL

আসানসোল শহরে ইস্কো কর্মীর বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরি, এলাকায় চাঞ্চল্য

স্প্রে করে বেহুঁশ,গ্যাস কাটার দিয়ে কাটা হলো জানালার গ্রিল

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায়ঃ* প্রথমে কিছু স্প্রে করে দিয়ে অচৈতন্য বা বেহুঁশ করে দেওয়া। তারপর গ্যাস কাটার দিয়ে কাটা হলো জানালার লোহার গ্রিল। এরপর ঘরের মধ্যে ঢুকে আলমারি খুলে লকার থেকে লুঠ করা হলো লক্ষাধিক টাকার সোনা ও রুপোর গয়না। সঙ্গে দুটি মানিব্যাগে থাকা মোট নগদ ৭ হাজার টাকা। বৃহস্পতিবার রাত এইসব কিছু ঘটেছে বার্ণপুর ইস্কো বা আইএসপির এক কর্মীর বাড়িতে। দুঃসাহসিক এই চুরির আসানসোল শহরের শ্রীপল্লী এলাকায়। শুক্রবার সকালে এই ঘটনার কথা জানাজানি হওয়ার পরে গোটা এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন এলাকার বাসিন্দারা। এদিন সকালে খবর পেয়ে পুলিশ আসে। ইস্কো কর্মী গৃহকর্তা কুমার বিবেকানন্দ গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। তার ভিত্তিতে পুলিশ বাড়িতে আসে ও সবকিছু দেখে তদন্ত শুরু করেছে। 
জানা গেছে, আসানসোলের শ্রীপল্লীর বাসিন্দা ঝুমা চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গত নভেম্বর মাস থেকে স্ত্রী সুজাতা কুমারী ও সন্তানকে নিয়ে ভাড়াটিয়া হিসেবে থাকছেন ইস্কো কর্মী কুমার বিবেকানন্দ।


ঝুমাদেবী বলেন, এদিন সকালে আমার ভাড়াটিয়া ইস্কো কর্মী সপরিবারে দেশের বাড়িতে যাওয়ার ছিলো। সেইমতো এদিন সকালে ইস্কো কর্মী ঘুম থেকে উঠে দেখেন, তার মানিব্যাগ নিচে পড়ে আছে। ভেতরে থাকা সাড়ে চার হাজার টাকা নেই। তখন তিনি স্ত্রী ঘুম থেকে উঠলে জিজ্ঞাসা করেন, সে টাকা ব্যাগ থেকে টাকা নিয়েছে কি না? স্ত্রী বলেন না। এরপর তার সন্দেহ হলে তিনি তার পার্সটি দেখতে গিয়ে দেখেন, তা নিচে পড়ে। তার মধ্যে আড়াই হাজার টাকা নেই। এরপর তারা দেখেন ভেতরের ঘরে থাকা আলমারি খোলা। আলমারি লকারও খোলা। তার মধ্যে থাকা সোনা ও রুপোর গয়না নেই। তারা দেখেন বাইরে বারান্দায় গয়নার খালি পড়ে আছে। ঘরের জানালার গ্রিল কাটা। দেখে মনে হচ্ছে তা গ্যাস কাটার দিয়ে কাটা হয়েছে। তার দাবি, চোরেরা জানালা দিয়ে ঐ ঘরে ঢোকে, যে ঘরে ইস্কো কর্মী পরিবার নিয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। তাদের টপকে পাশের ঘরে ঢুকে আলমারি খুলে সবকিছু চুরি করে নিয়ে যায়। জানালা দিয়ে চোরেরা ঢুকলেও স্বামী-স্ত্রী টের পাননি। এমনটা কি করে হয়? তাহলে নিশ্চয় চোরেরা ঘরের ভেতরে কিছু স্প্রে করা হয়েছিলো বলে তিনি জানান।


ইস্কো কর্মী বলেন, প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ ঘুমোতে যাই। রাতে কিছু আওয়াজ শুনি। কিন্তু ঘুম থেকে উঠতে পারিনি। সকালে উঠে দেখি এই অবস্থা। এখন মনে হচ্ছে, হয়তো কিছু স্প্রে করে দেওয়ায় ঘুম থেকে উঠতে পারিনি।
জানা গেছে, গত শনিবার এই গৃহস্থর বাড়িতে দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছিলো। তারপর বৃহস্পতিবার রাতে আবার। স্বাভাবিক ভাবেই এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন।
পুলিশ জানায়, অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত শুরু হয়েছে।

Leave a Reply