ASANSOL

আসানসোলে বিজেপির ওবিসি মোর্চার ” গনতন্ত্র হত্যা দিবস ” পালনে দিলীপ ঘোষ, তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ

বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ* বিজেপি ওবিসি মোর্চার পক্ষ থেকে রবিবার আসানসোলের জিটি রোডের সিটি বাস স্ট্যান্ডের কাছে ” গণতন্ত্র হত্যা দিবস” পালিত হয়। এই উপলক্ষে হওয়া এক  অনুষ্ঠানে মুল বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকা বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ দিলীপ ঘোষ রাজ্যের শাসক দল তৃনমুল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন। তার কথায় বাংলায় গনতন্ত্রকে হত্যা করে কবর দিয়েছে তৃনমুল কংগ্রেস। এই অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায়, রাজ্য কমিটির সদস্য কৃষ্ণেন্দু মুখোপাধ্যায়, জেলা সম্পাদক অভিজিৎ রায়, অরিজিৎ শঙ্কর চৌধুরী, অমিতাভ গড়াই, ভৃগু ঠাকুর ছাড়াও বিজেপি নেতা ও কর্মীরা।
দিলীপ ঘোষ আরো বলেন, একদিকে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা দিল্লিতে গিয়ে গণতন্ত্র বাঁচাতে গান্ধী মূর্তির কাছে বিক্ষোভ করে খবরের শিরোনামে থাকার চেষ্টা করছেন। আর বাস্তব হলো বাংলায় গণতন্ত্রকে হত্যা করে মাটি চাপা দিয়ে কবর দেওয়া হয়েছে।


পশ্চিমবঙ্গে যেভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধকে দমন করা হচ্ছে তা খুবই বিপজ্জনক। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে। কারণ এই রাজ্য আন্তর্জাতিক সীমান্ত  রাজ্য। এখানে শাসক দলের নেতা মন্ত্রীদের মদতে যেভাবে রোহিঙ্গাদেরকে ঢোকানো হচ্ছে সেটি দেশের  নিরাপত্তার জন্য খুবই বিপজ্জনক।
এদিনের তৃণমূলের শহীদ দিবসে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, একটা সময় ছিল যখন প্রয়াত সিপিএম নেতা হরকিষান সিং সুরজিৎ সব দলের কাছে যেতেন ও সমর্থন চাইতেন। এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই কাজ করছেন। কখনও তিনি পাটনা যান, আবার কখনও মুম্বাই যান। তবে কোনও রাজনৈতিক দল তাকে বিশ্বাস করে না। কারণ তারা তা জানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কোনও রাজনৈতিক অস্তিত্ব বা নীতি নেই। তিনি কখনও কংগ্রেসের সাথে থাকেন, কখনও বিজেপির সাথে আবার কখনও বামপন্থীদের সাথে গোপনে থাকেন।

দিলীপ ঘোষ বলেন, অখিলেশ যাদব এদিন কলকাতায় তৃণমূলের শহীদ দিবসের মঞ্চে এসেছিলেন। অখিলেশ যাদব যিনি দুবার উত্তরপ্রদেশে ভারতীয় জনতা পার্টির কাছে হেরেছেন। সেখানে যোগী আদিত্যনাথ সরকার গঠন করেছেন। বাস্তবে তার এখন কোনো কাজ নেই। তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, তামিলনাড়ু থেকে স্টালিন বা শিবসেনা বা বহুজন সমাজ পার্টি ও সিপিএমের সিনিয়র নেতারা এদিন মঞ্চে আসেননি। কারণ তারা কেউই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিশ্বাস করেন না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *