আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতে সাজা ঘোষণা, এসএসপির সশ্রম কারাদণ্ড
আসানসোল হেড পোস্ট অফিসের টাকা তছরুপের মামলায় দোষী সাব্যস্ত
বেঙ্গল মিরর, আসানসোল, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও দেব ভট্টাচার্যঃ ১৫ বছর আগে আসানসোল ডিভিশনের রানীগঞ্জ পোস্ট অফিসের টাকা ( পাবলিক ফান্ড) তছরুপের মামলায় দোষী সাব্যস্ত হলেন তদানীন্তন এসএসপি বা সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোস্ট অফিস মলয় পাল। গত বৃহস্পতিবার ২৫ জুলাই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক রাজেশ চক্রবর্তী শুনানি শেষে সাজা ঘোষণা করেন। চূড়ান্ত রায়ে বিচারক এসএসপির ৫ বছর সশ্রম কারাদণ্ডের নির্দেশ দেন। পাশাপাশি ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়ার কথা রায়ে বিচারক রায়ে জানিয়েছেন। বৃহস্পতিবারই আসানসোল বিশেষ সিবিআই আদালত থেকে এসএসপিকে আসানসোল জেলে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার দিল্লির কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি সিবিআইয়ের সদর দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই মামলা নিয়ে বিস্তারিত তথ্য দেওয়া হয়েছে। তাতে জানা যায়, সিবিআই ২০০৯ সালের ২৭ জানুয়ারি এই মামলা নথিভুক্ত করে। সেই সময় আসানসোল বড় পোস্ট অফিসে এসএসপি বা সিনিয়র সুপারিন্টেন্ডেন্ট অফ পোস্ট অফিস ছিলেন মলয় পাল। ২০০৬ সালে তিনি রানীগঞ্জ পোস্ট অফিসের কাউন্টার ক্লার্ক ছিলেন সেই সময় এই দুর্নীতি হয়েছিল বলে জানা গেছে। নির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করে সিবিআইয়ের অফিসাররা জানতে পারেন আসানসোল ডিভিশনের রানীগঞ্জ পোস্ট অফিসের মোট ৪৪ টি একাউন্টে টাকা জমা ও তোলার ক্ষেত্রে গরমিল হয়েছে। যার মধ্যে ৪২ টি উইথড্র ভাউচারে টাকার অঙ্ক বাড়ানো হয়েছে। ২ টি ডিপোজিট ভাউচারে টাকার অঙ্ক কমানো হয়েছে।
তদন্তে আরো জানা যায়, সেই টাকার অঙ্ক সবমিলিয়ে ৭২ হাজার ৭৪ টাকা। এই টাকা বিভিন্ন ব্যাঙ্ক একাউন্টে গেছে। আর গোটা বিষয়টির পেছনে আছেন এসএসপি। পোষ্ট অফিসের টাকা বা পাবলিক ফান্ড তছরুপের তদন্ত শেষে ২০১০ সালের সিবিআই আদালতে এসএসপির বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয়। সিবিআই বিভিন্ন ধারা এই মামলায় দেয়। ১৫ বছরের বেশী সময় ধরে মামলা চলার পরে সওয়াল-জবাব শেষে গত বৃহস্পতিবার আসানসোলে বিশেষ সিবিআই আদালতে এসএসপি দোষী সাব্যস্ত হন ও তার সাজা ঘোষণা করেন বিচারক।