কুলটিতে বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে চললো আসানসোল পুরনিগমের বুলডোজার
বেঙ্গল মিরর, কুলটি, রাজা বন্দোপাধ্যায় ও সৌরদীপ্ত সেনগুপ্তঃ হাইকোর্টের নির্দেশে আরো একবার বেআইনি নির্মাণ ভাঙতে চললো আসানসোল পুরনিগমের বুলডোজার। বুধবার সকালের এই ঘটনায় আসানসোলের কুলটির নিয়ামতপুরের জিটি রোডের পাশে বেআইনি নির্মাণ ভাঙার ঘটনাকে কেন্দ্র করে গোটা এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এদিন সকালে আসানসোল পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার পুর কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ঐ বেআইনি নির্মাণ ভাঙার কাজ শুরু করেন। আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর কে শ্রীবাস্তব ,আইনী উপদেষ্টা সায়ন্তন মুখোপাধ্যায় ও সহকারী ইঞ্জিনিয়ার নয়ন নস্কর এলাকায় উপস্থিত ছিলেন।
আসানসোল পুরনিগম সূত্রে জানা গেছে, এদিন কুলটির নিয়ামতপুর এলাকায় পেট্রোল পাম্পের পাশে মহঃ ইসলামের বাড়ি বেআইনিভাবে ভেঙে ফেলা হয়েছে বলে খবর। হাইকোর্টে মামলাকারী মহঃ আনসার জানান, মহঃ ইসমাইল আমদের জমি অবৈধভাবে দখল করে। পরে সেখানে আসানসোল পুরনিগমের প্ল্যান বা নকশা ছাড়াই বাড়ি নির্মাণ করেন। এই ব্যাপারে আসানসোল পুরনিগমে অভিযোগ জানানোর পাশাপাশি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানানো হয়েছিলো। শেষ পর্যন্ত আমরা হাইকোর্টে মামলা করি। এরপর হাইকোর্ট থেকে অবৈধ নির্মাণ ভাঙার নির্দেশ আসে। এদিন সেইমতো আসানসোল পুরনিগম সেই নির্মাণ ভাঙতে এসেছে।
অন্যদিকে, মহঃ ইসলাম বলেন, এই নিয়ামতপুর এলাকার বেশির ভাগ বাড়িই বিনা অনুমতিতে নির্মাণ করা হয়েছে। যাদের কোন প্ল্যান নেই। প্রকারান্তরে তিনি স্বীকার করে নেন যে, তার নির্মাণটি বেআইনি। তার দাবি, হাইকোর্টের নির্দেশে আসানসোল পুরনিগম তা ভাঙছে। জমি তো আমার থাকবে। পরে সেখানে আমি আসানসোল পুরনিগম থেকে প্ল্যান পাশ করে নতুন করে নির্মাণ কররো। এই প্রসঙ্গে আসানসোল পুরনিগমের ইঞ্জিনিয়ার আর কে শ্রীবাস্তব বলেন, এই নির্মাণ নিয়ে হাইকোর্টে একটি মামলা করা হয়েছিলো। তাতে হাইকোর্ট এই নির্মাণকে বেআইনি বলা হয়েছে। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভাঙ্গার জন্য। সেইমতো তা ভাঙা হয়েছে।