ASANSOL

শহরের রাস্তার বেহাল অবস্থা, সংকটে আসানসোলবাসী

বেঙ্গল মিরর, দেব ভট্টাচার্য,   আসানসোল। আসানসোল শহরের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র হটন রোড ,এসবি গড়াই রোড গত বেশ কিছুদিন ধরে যেভাবে বিদ্যুতের তার মাটির নিচে দিয়ে নিয়ে যাবার জন্য রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার ঠিকাদাররা রাস্তার উপর মাটি ঘুরছে তাতে চরম সংকটে আসানসোল বাসী। শুধু তাই নয় হটন রোডের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাতে  বিদ্যুৎ দপ্তরের ঠিকা কর্মীরা, মাটির নিচে দিয়ে তার নিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক জায়গায় রাস্তার উপর বড় বড় গর্ত করে রেখেছে।, যার চার পাশে ব্যারিকেড পর্যন্ত নেই ।

এই রাস্তার লাগোয়া একটি বড় হাই স্কুল যেখানে কয়েক হাজার পড়ুয়া পায়ে হেঁটে এখান দিয়ে যাতায়াত করে। তার ওপর এই রাস্তা দিয়ে অনবরত সয়ে শয়ে টোটো এবং অটো ও বাইক এবং চার চাকার গাড়ি চলছে। যে কোন মুহূর্তে ওই সব গর্তে যে কেউ পড়ে গিয়ে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আসানসোল বাসস্ট্যান্ড বা জিটি রোড থেকে সোজা জেলা হাসপাতালে যাওয়ার এটা অন্যতম রাস্তা ।ফলে হটন রোড বা গড়াই রোডের মাটি কাটার কারণে রোগী থেকে স্থানীয় বাসিন্দা বা বহিরাগতরা যাতায়াতের জন্য সমস্যায় পড়েন।


এই এলাকার স্থানীয় বাসিন্দা এবং প্রাক্তন বোরো চেয়ারম্যান প্রবাল বোস বলেন ভয়ংকর অবস্থা হয়ে আছে বিদ্যুৎ দপ্তরের কাজের জন্য। যেখানে সেখানে গর্ত করা হচ্ছে এবং সেই গর্তগুলো ভরাট পর্যন্ত করা হচ্ছে না ।আর এই কারনে যানজটও বেড়েছে। এই রাস্তা দিয়ে নিয়মিত চিকিৎসার জন্য যাতায়াতকারী উত্তর আসানসোলের বাসিন্দা স্বপন দাস বলেন যারা অসুস্থতা নিয়ে হাসপাতালে এই রাস্তাতে রাস্তার উপর দিয়ে যাবেন তাদের অসুস্থতা অনিবার্যভাবেই বাড়ে।

আসানসোল পুরসভার মেয়র পারিষদ এবং স্থানীয় বাসিন্দা গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন সামান্য বৃষ্টি হলেই পা পিছলে এখানকার যাতায়াতকারী মানুষেরা দুর্ঘটনায় পড়েন। কিছুদিনের মধ্যেই বেশ কিছু মানুষ এখানে পড়ে গিয়ে হাত-পা ভেঙেছেন। আর প্রায় ওরা কাজ করতে গিয়ে আমাদের জলের পাইপলাইনও ফাটিয়ে দিচ্ছেন ।ফলে পানীয় জলের ভয়ংকর সমস্যা কিছুদিন ধরে এসব অঞ্চলে তৈরি হচ্ছে। আমরা বিষয়টা বারবার বিদ্যুৎ দপ্তরকে জানালেও কাজ হচ্ছে না। আমি আবারও বিদ্যুৎ দপ্তরের রিজিওনাল ম্যানেজারকে কালই চিঠি লিখবো। অন্যদিকে ডেপুটি মেয়র ওয়াসিমুল হক এই বিষয় নিয়ে জেলাশাসককে চিঠি লিখেছেন।


আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায় বলেন বিষয়টি নিয়ে আমি একাধিকবার ফোনে এবং চিঠি লিখে বিদ্যুৎ দপ্তর কে জানিয়েছি। কিন্তু উনারা দায়িত্ব পালন করছেন না। যেলা হাসপাতালের ডেপুটি সুপার কঙ্কন রায় বলেন অবিলম্বে উচিত গড়াই রোড বা হাসপাতাল সংলগ্ন রাস্তা গুলি যেসব জায়গা মাটি খুঁড়ে ফেলা হয়েছে সেগুলিকে আগের মতই আবার বিটুমিন দিয়ে সমান করে দেওয়া। তা নাহলে সত্যিই হাসপাতালে রোগীদের যাতায়াতের অসুবিধা কমবে না।


রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থার রিজিওনাল ম্যানেজার বিশ্বজিৎ বাগদী বলেন গড়াই রোড বা হটনরোডে তিনটি সংস্থা কাজ করছে ।প্রথমত পুরসভা নিজেদের জলের পাইপলাইন মাটির নিচে দিয়ে একাধিক জায়গায় নিয়ে গেছে, দ্বিতীয়তঃ একটি বেসরকারি টেলিফোন সংস্থা তারাও মাটির নিচে দিয়ে কেবল নিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়া আমাদেরও মাটির নিচে দিয়ে কেবল এর কাজ চলছে। তবে হটনরোডের যেসব জায়গায় গর্ত খুঁড়ে খুঁড়ে রাখা আছে সেগুলি আমার জানা ছিল না। আমি অবিলম্বে ব্যবস্থা নেব এবং খুড়ে রক্ষা গর্ত গুলির চারপাশে ব্যারিকেড করার কথা বলব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *