ইসিএল কর্মীকে হুমকি, মারধর করার অভিযোগ জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি এর বিরুদ্ধে
ভিত্তিহীন অভিযোগ দাবি তৃণমূল নেতার, সরব বিজেপি নেতৃত্ব
বেঙ্গল মিরর, সার্থক কুমার দে ও চরণ মুখার্জী, অন্ডাল :সরকারি এক আধিকারিককে রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির হুমকির রেশ কাটতে না কাটতে এবার দুর্গাপুরের অন্ডালে এক ইসিএল কর্মীকে মারধর ও প্রাণে মেরে ফেলার হুমকির অভিযোগ এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। ভিত্তিহীন অভিযোগ দাবি তৃণমূল নেতার। সরব বিজেপি নেতৃত্ব। তোলপাড় জেলার রাজনীতি । এক ইসিএল কর্মীকে হুমকি, মারধর করার অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি বিষ্ণুদেও নুনিয়ার বিরুদ্ধে । অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিষ্ণুদেও বাবু ।
ইসিএলের কাজোড়া এরিয়ার খাস কাজোড়া কোলিয়ারির ডিলিং ক্লার্ক সদানন্দ নুনিয়া নামে এক কর্মীকে মারধোর, হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাপতি তথা এইচএমএস শ্রমিক সংগঠনের নেতা বিষ্ণুদেও নুনিয়ার বিরুদ্ধে । রবিবার ঘটনার কথা জানিয়ে অন্ডাল থানায় বিষ্ণুদেও বাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন সদানন্দ নুনিয়া ।
তিনি জানান শুক্রবার কোলিয়ারিতে কাজ করার সময় কয়েকজন সঙ্গীকে নিয়ে তার চেম্বারে আসেন বিষ্ণুদেও বাবু । তাকে মারধর করা হয় । হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি । তবে তার বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ ভিত্তিহীন অবান্তর বলে দাবি করেন বিষ্ণুদেও বাবু ।
পাশাপাশি তিনি জানান সদানন্দ নুনিয়া পরদেশী ভূঁইয়া নামে একজনের চাকরির নিয়োগের ফাইল দীর্ঘ ৮ মাস ধরে আটকে রেখেছেন । ওই ফাইল সদানন্দ নুনিয়ার হেফাজতে রয়েছে বলে জানতে পেরে কয়েক দিন আগে পারদেশী ভূঁইয়া সদানন্দের সাথে যোগাযোগ করেন । তখন সদানন্দ ওই ব্যক্তির কাছে ফাইল এর কাজ দ্রুত করে দেওয়ার জন্য দু’লক্ষ টাকা দাবি করেন । কাজে গাফিলতি, উৎকোচ চাওয়ার কারণে সদানন্দ কে কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি চার্জশিট করেছে বলে জানান বিষ্ণুদেও বাবু । তিনি বলেন ফাইল আটকে রাখার বিষয়টি জানার পর সদানন্দের কাছে বিষয়টির জবাবদিহি চেয়েছি । সেই কারণেই সদানন্দ তার নামে মিথ্যা মারধর ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করছে বলে জানান বিষ্ণুদেও বাবু । অভিযোগ পাল্টা অভিযোগের বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোলিয়ারির আধিকারিকদের কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ।
এইদিকে এই ইস্যুতে সরব বিজেপি নেতৃত্ব, এটাই তো হওয়ার এটাই তো বাংলার সংস্কৃতি অখিল গিরির মতো মন্ত্রী সেটা বারবার করে চলেছেন বারবার। সব মিলিয়ে তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে দাদাগিরির অভিযোগ ওঠায় এখন তোলপাড় পশ্চিম বর্ধমান জেলার রাজনীতি।